বরিশাল-৫ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ ও বরিশাল-৪ (হিজলা-মেহেন্দিগঞ্জ) আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাম্মী আহম্মেদের প্রার্থিতা আপিল বিভাগেও বাতিল রইল। এতে করে দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশ নিতে পারবেন না তারা।
আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানের নেতৃত্বে ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
জানা যায়, সেরনিয়াবাত সাদিক আবদুল্লাহ দলের মনোনয়ন না পেয়ে বরিশাল-৫ আসনে স্বতন্ত্র হিসেবে মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছিলেন। গত ১৫ ডিসেম্বর রিটার্নিং কর্মকর্তা তার মনোনয়নপত্র বৈধ ঘোষণা করেছিলেন।
কিন্তু দ্বৈত নাগরিকত্বের অভিযোগ তুলে তার মনোনয়ন বাতিল চেয়ে পরে ইসিতে আপিল করেন ওই আসনের নৌকার প্রার্থী ও পানি সম্পদ প্রতিমন্ত্রী জাহিদ ফারুক শামীম। শুনানি শেষে সাদিক আবদুল্লাহর প্রার্থিতা বাতিল করে কমিশন। পরে হাইকোর্টে গিয়ে নিজের পক্ষে রায় পেলেও আজ আপিল বিভাগে ফের আটকে গেল সাদিক আবদুল্লাহর প্রার্থিতা।
এদিকে ১৫ ডিসেম্বর দ্বৈত নাগরিকত্বে অভিযোগে প্রার্থিতা বাতিল হয় বরিশাল-৪ আসনের আওয়ামী লীগের প্রার্থী শাম্মী আহমেদ। আর একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ দেবনাথের প্রার্থিতা বহাল থাকে।
পরে শাম্মী আহমেদ ও একই আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী পঙ্কজ দেবনাথ পরস্পরের প্রার্থিতা বাতিল চেয়ে ইসিতে আপিল করেছিলেন। অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক হলেও শাম্মী আহমেদ তা গোপন করেছিলেন। পরে সেই অভিযোগের সত্যতা পেয়ে দ্বৈত নাগরিকত্বের কারণে শাম্মী আহম্মেদের মনোনয়নপত্র বাতিল করা হয়। আজ তার প্রার্থিতা বাতিলের আদেশ দেয় আপিল বিভাগ।