নির্বাচন ভিন্ন অন্য কোনো পথ আওয়ামী লীগ খোঁজে না বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেছেন, “আওয়ামী লীগ সব সময় গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে। ভোটের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে। যতবার ক্ষমতায় এসেছে জনগণের ভোট নিয়েই সরকারে এসেছে।”
মঙ্গলবার ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে ছাত্রলীগের সম্মেলনে একথা বলেন আওয়ামী লীগ সভাপতি।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে একটিবারই শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর হয়েছিল। আওয়ামী লীগ ১৯৯৬ সালে সরকারে এসে ২০০১ সালে ৫ বছর সম্পন্ন হওয়ার পর শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর করে।
আর কোনোদিন বাংলাদেশে ক্ষমতার পরিবর্তন শান্তিপূর্ণভাবে হয়েছে কি না- সেই প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, “আওয়ামী লীগ গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে, জনগণের শক্তিতে বিশ্বাস করে। সেজন্যই আওয়ামী লীগ শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা দিয়ে এসেছিল।”
বিএনপির সমালোচনা করে আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, “আর খালেদা জিয়া বিনিময়ে কী করেছিল? ১৯৯১ সালে জামাতের সাথে হাত মিলিয়ে সরকার গঠন করল। যখন ১৯৯৬ সালে ইলেকশন, সেই ইলেকশনে জনগণের ভোট চুরি করল।”
১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারির বিতর্কিত নির্বাচনের পর খালেদা জিয়ার পদত্যাগের বাধ্য হওয়ার কথা তুলে ধরে শেখ হাসিনা বলেন, “এটা বিএনপির মনে রাখা দরকার যে জনগণের ভোট চুরি করলে জনগণ ছেড়ে দেয় না। জনগণ জানে কীভাবে সেই সরকার উৎখাত করতে হবে।”
আওয়ামী লীগকে নিয়ে সমালোচনার জবাবে তিনি বলেন, “আমরা ভোট চুরি করতে যাব কেন? জনগণ স্বতঃস্ফূর্তভাবে আমাদের ভোট দেয়।”
ভোটে বিএনপির হারের জন্য তাদের অনৈতিক কর্মকাণ্ডকে দায়ী করেন শেখ হাসিনা।
“২০১৮- এর ইলেকশন, এক সিটে যদি তিনজন করে নমিনেশন দেয়… এখানে ফখরুল একজনকে নমিনেশন দেয়, রিজভী আরেকজনকে দেয়, আর লন্ডন থেকে তারেক দেয় আরেকজনকে। যে যত টাকা পায়, সে ততটা নমিনেশন দেয়। সেখানে হল টাকার খেলা।”