পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের চেয়ারম্যান নিখিল কুমার চাকমা বলেছেন, তিন পার্বত্য জেলার হতদারিদ্র কৃষকদের ভাগ্য পরিবর্তনের লক্ষ্যে উন্নয়ন বোর্ড বাস্তবভিত্তিক ও সময়োপযোগী প্রকল্প গ্রহণ করে তা নিরলসভাবে বাস্তবায়ন করছে। এরমধ্যে দুর্গম এলাকাগুলো আলোকিত করতে সৌর বিদ্যুৎ প্যনেল সহায়তা অন্যতম।
তিনি বলেন, আগামী ৩০ জুনের মধ্যেই এই প্রকল্প শেষ হবে। পাশাপাশি কফি ও কাজুবাদাম চাষের মাধ্যমে দারিদ্র হ্রাসকরণ, প্রকল্প, সুগারক্রপ চাষাবাদ জোরদারকরণ প্রকল্প, তুলা চাষ বৃদ্ধি ও কৃষকদের দারিদ্র বিমোচন শীর্ষক প্রকল্প কথা উল্লেখ করে চেয়ারম্যান বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার স্মার্ট বাংলাদেশ ভিশনের ঘোষণা আসার পর থেকেই আমরা স্বল্প ও মধ্যমেয়াদি স্কীম গ্রঞন করে তার কাজ শুরু করে দিয়েছি।
রোববার (২৮ মে) পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের ২০২৩-২০২৪ অর্থ বছরের পরামর্শক কমিটির সভায় বক্তব্য রাখার সময় চেয়ারম্যান নিখিল এই তথ্য তুলে ধরেন। বোর্ডের প্রধান কার্যালয়স্থ কর্ণফুলী সম্মেলন কক্ষে অনুষ্ঠিত সভাটি সঞ্চালনা করেন বোর্ডের ভাইস চেয়ারম্যান মোহাম্মদ নুরুল আলম চৌধুরী। সভার আলোচ্য বিষয় ছিল বিগত ২৬/০৫/২০২২ খ্রি. তারিখে অনুষ্ঠিত সভার কার্যবিবরণী পাঠ ও অনুমোদন; পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের জন্য উন্নয়ন সহায়তা কোড নং-২২১০০১১০০ এর আওতায় ২০২৩-২০২৪ অর্থবছরে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে অন্তর্ভূক্তির জন্য নতুন স্কিম/প্রকল্প বাছাইকরণ এবং বিবিধ।
সভায় ভাইস চেয়ারম্যান, পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ডের জন্য উন্নয়ন সহায়তা কোড নং-২২১০০১১০০ এর আওতায় বিগত বছরে স্কিমের বাস্তবায়নের অবস্থা সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরেন। বোর্ড কর্তৃক বাস্তবানাধীন স্কিমের কার্যক্রম সুষ্ঠু সম্পাদনের লক্ষ্যে পরামর্শক কমিটি সদস্যবৃন্দ স্ব স্ব এলাকার উন্নয়নমূলক কর্মকান্ড তদারকি করার ক্ষেত্রে সহযোগিতা প্রদানের জন্য ধন্যবাদ জানান।
সভায় চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিস্টার দেবাশীষ রায় বলেন, চাকমা সার্কেল আওতায় অনেকগুলো দুর্গম পাড়া রয়েছে। সেখানে বোর্ড কর্তৃক সোলার প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে সৌর বিদ্যুৎ বিতরণের জন্য বোর্ডের চেয়াম্যানের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানান। এসময় তিনি বৈশি^ক অর্থনৈতিক মোকাবেলায় এলাকা ভিত্তিক ৩ ফসলী উদ্যান জাতীয় ফসল চাষবাদ করার জন্য প্রকল্প গ্রহণের বিষয় মতামত তুলে ধরেন। এছাড়া তিনি পার্বত্য এলাকার সম্ভাবনাময় নারী ও পুরুষ ক্রীড়াবিদ অন্বেষনে ক্রীড়া সংক্রান্ত প্রশিক্ষণ প্রদানের উদ্যোগ গ্রহণের বিষয়ে প্রস্তাব তুলেন।
সভায় অন্যান্যের মধ্যে সদস্য প্রশাসন ও সদস্য পরিকল্পনা মোঃ জসীম উদ্দিন ছাড়াও পরামর্শক কমিটির সদস্য চাকমা সার্কেল চীফ ব্যারিস্টার রাজা দেবাশীষ রায়, খাগড়াছড়ির মং সার্কেল চীফ রাজা সাচিংপ্রু চৌধুরী, ক্যজাই মারমা চেয়ারম্যান কলমপতি ইউনিয়ন পরিষদ, কাউখালী উপজেলা, ক্যঅংপ্রু মারমা চেয়ারম্যান ১নং রাজবিলা ইউনিয়ন পরিষদ বান্দরবান, মেমং মারমা চেয়ারম্যান ১নং গুইমারা ইউনিয়ন পরিষদ খাগড়াছড়ি, হ্লাথোয়াইহ্রী র্মামা হেডম্যান ৩১৬ নং বেতছড়া মৌজা রোয়াংছড়ি বান্দরবান, প্রিয় নন্দ চাকমা চেয়ারম্যান, সরোয়াতলী ইউনিয়ন পরিষদ, বাঘাইছড়ি রাঙ্গামাটি, সুরেশ মোহন ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি সদর এবং অমল কান্তি দাশসহ বোর্ডের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তাবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।