পাকা বসতঘর, গোলাভরা ধান, গোয়ালভরা গরু নিয়ে সুখের সংসার ছিল ফাতেমা খাতুনের। কয়েক বছর আগে স্বামী আবু তাহের মারা যাওয়ার পর থেকেই যেন বারবার হোঁচট খেয়েই চলেছেন জীবনযুদ্ধে। শেষ আশ্রয় ভাঙা বসতঘরটাও এবারের বন্যায় তলিয়ে গেছে। একটু ত্রাণের আশায় ঘুরছেন এদিক-সেদিক। কিন্তু ১০ দিনেও মেলেনি এক প্যাকেট ত্রাণ।
ফাতেমা খাতুন লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার মান্দারী ইউনিয়নের চতইল্লা গ্রামের বাসিন্দা। চোখের জল মুছতে মুছতে তিনি প্রথম আলোকে জানান, তিন মেয়েকে নিয়ে তাঁর পরিবার পানিবন্দী। এখন পর্যন্ত কোনো ত্রাণ পাননি। ত্রাণের আশায় তিনি বাজার এলাকায় এসেছেন। তাঁর মতো হাজারো বাসিন্দা পানিবন্দী হয়ে চরম কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন। এই জীবনে বয়স্ক ভাতা পাননি, এমনকি বিধবা ভাতাও দেওয়া হয়নি বলে জানান ফাতেমা।