বাংলাদেশের সব সিটি করপোরেশনকে নিজস্ব আয়ে চলার সক্ষমতা অর্জন করতে হবে। দূষণমুক্ত রাখতে হবে সব নদী। মঙ্গলবার জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটি-একনেকের বৈঠকে এসব নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। বৈঠকে ৪ হাজার ৫৪২ কোটি টাকা ব্যয়ে ১১টি প্রকল্পের অনুমোদন দেয়া হয়।
একনেক সভা শেষে সংবাদ সম্মেলনে পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান এসব তথ্য জানান। প্রধানমন্ত্রী ও একনেক চেয়ারপারসন শেখ হাসিনা গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে একনেক সভায় সভাপতিত্ব করেন।
১১ টি প্রকল্পের মধ্যে ৬টি নতুন ও পাঁচটি পুরাতন প্রকল্প রয়েছে। ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের একটি প্রজেক্ট অনুমোদন প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী এ নির্দেশ দেন। দেশের সব সিটি করপোরেশনকে উন্নয়ন কাজে অনুদান দিতে হয়।
প্রধানমন্ত্রীর অনুশাসন প্রসঙ্গে এম এ মান্নান বলেন, দেশের উন্নয়ন কাজে দেশের সব সিটি করপোরেশনকে অনুদান দিয়ে থাকে সরকার। এতে সরকারের ব্যয় বাড়ে। তাই তাদেরকে স্বাবলম্বী হতে নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। যাতে নিজস্ব আয় দিয়ে তাদের ব্যয় মেটানো যায়।
সভায় আরো জানানো হয়, চলতি অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়ন হয়েছে ৪৫ শতাংশের বেশি। সভায় নতুন ৬ টি এবং ৫ সংশোধিত প্রকল্প অনুমোদিত হয়। মোট ব্যয়ের ৪ হাজার ৫শ ৪১ কোটি টাকাই জোগান দেবে সরকার।
রাঙ্গামাটি-খাগড়াছড়ি-বান্দরবান এলাকায় সীমান্ত সড়ক নির্মাণের ব্যয় ২ হাজার ১৭৪ কোটি টাকা বাড়িয়ে সংশোধিত প্রকল্প অনুমোদন হয়েছে। দুগ্ধ সমবায় কার্যক্রম বৃদ্ধির প্রকল্পে ব্যয় হবে ১শ ৫৭ কোটি টাকা।
সভাশেষে জানানো হয়, অর্থবছরের মার্চ পর্যন্ত সময়ে বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচি বাস্তবায়নের হার বেড়েছে। এসময়ে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৯৯ হাজার কোটি টাকা।
কালিগঙ্গা নদীর ভাঙ্গন থেকে ঢাকা ও মানিকগঞ্জের কয়েকটি উপজেলা এবং পানগুছি নদীর ভাঙ্গণ থেকে বাগেরহাটের মোড়লগঞ্জ ও সংলগ্ন এলাকা সংরক্ষণ, বিশখালী নদী পুণ:খননে দুটি প্রকল্প নেয়া হয়েছে। ময়মনসিংহ সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা উন্নয়নে বরাদ্দ করা হয়েছে ১২২ কোটি টাকা।
নারায়নগঞ্জের সদর উপজেলার জলাবদ্ধতা নিরসনে প্রায় দেড়শো কোটি টাকা ব্যয়ে প্রকল্প অনুমোদন করা হয়েছে।