নির্বাচন কমিশনের (ইসি) সাবেক সচিব হেলালুদ্দীন আহমদকে আটক করা হয়েছে। আজ বুধবার সন্ধ্যায় চট্টগ্রাম নগরের খুলশী তুলাতুলী এলাকার একটি বাসা থেকে তাঁকে আটক করে পুলিশ।
জানতে চাইলে কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফজলুল কাদের চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে খবর পেয়ে হেলালুদ্দীন আহমদকে আটক করা হয়েছে। তিনি থানায় রয়েছেন। তাঁর বিরুদ্ধে পরবর্তী আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
হেলালুদ্দীন আহমদ ২০২২ সালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের সচিব পদ থেকে অবসরে যান। এর আগে তিনি ইসি সচিব ছিলেন।
গত ১৮ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রাম আদালতে একরামুল করিম নামের এক মুক্তিযোদ্ধার করা মামলায় সাবেক ইসি সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ, প্রধান নির্বাচন কমিশনার কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, কে এম নূরুল হুদা ও কাজী হাবিবুল আউয়াল, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ বিগত তিনটি জাতীয় সংসদ নির্বাচনে জয়ী সংসদ সদস্যদের আসামি করে চট্টগ্রামে প্রতারণা ও রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে মামলা হয়েছে।
বাদীর আইনজীবী কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, মামলাটি আদালত পুলিশকে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের সংসদ নির্বাচনে বিরোধী দলসহ অনেক জনপ্রিয় নেতার অংশগ্রহণ ছিল না। সাধারণ মানুষ ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি। যাঁরা কমিশনে ছিলেন, তাঁদের ব্যর্থতার কারণে প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীও নির্বাচনী মাঠে একপেশে আচরণ করেছে। বিপুল টাকা ব্যয়ে যে তিনটি নির্বাচন হয়েছে, তাতে সংবিধানের খেলাপ করেছেন নির্বাচন কমিশনারসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা। তাই রাষ্ট্রদ্রোহ ও প্রতারণার মামলা করা হয়েছে। একই সঙ্গে এসব নির্বাচনে যাঁরা সংসদ সদস্য নির্বাচিত হয়েছেন, অবৈধভাবে সুযোগ–সুবিধা ভোগ করায় তাঁদেরও মামলায় আসামি করা হয়েছে।