স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁধ মেরামতের সংগ্রামে শত শত মানুষ
সিএইচটি টিভি ডেস্ক
  • প্রকাশিত : 30-05-2024
ফাইল ছবি : সংগৃহীত

খুলনার পাইকগাছা উপজেলার দেলুটি ইউনিয়নের তেলিখালী গ্রামে ভদ্রা নদীর ভেঙে যাওয়া বাঁধের স্থানে রিংবাঁধ দিয়ে পানি আটকানোর চেষ্টা করছেন এলাকাবাসী। আজ বৃহস্পতিবার সকাল ১০টা থেকে ওই কাজে যুক্ত হয়েছেন শত শত মানুষ। কিশোর, যুবক, বৃদ্ধ, নারী—সবাই আছেন সেই কাতারে। বিভিন্ন এলাকা থেকে এসে স্বেচ্ছাশ্রমে কাজ করছেন তাঁরা। চার দিন ধরে এভাবেই বাঁধ মেরামতের কাজ চলছে।

ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে হওয়া উচ্চ জোয়ারে দেলুটি ইউনিয়নের পানি উন্নয়ন বোর্ডের (পাউবো) ২২ নম্বর পোল্ডারের তেলিখালী গ্রামের কাছে ভদ্রা নদীর ২৫০ মিটারের মতো বাঁধ ভেঙে গেছে। ভেঙে যাওয়া বাঁধ এই মুহূর্তে মেরামত করা সম্ভব নয়। এ কারণে ভাঙা স্থানের একপাশে রিংবাঁধ দিয়ে পানি আটকানোর চেষ্টা করছেন স্থানীয় বাসিন্দারা ও পাউবো। রিমাল আঘাত করার রাতেই ভেঙে যায় বাঁধটি। এতে ওই এলাকার ১৩টি গ্রামের প্রায় ১৫ হাজার মানুষ পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। ২২ নম্বর পোল্ডারের আয়তন প্রায় আড়াই হাজার হেক্টর।

 

স্থানীয় বাসিন্দারা বলেন, পোল্ডারটি দীর্ঘদিন ধরে লোনাপানিমুক্ত ছিল। লবণপানি প্রবেশ করায় ওই এলাকায় মানবিক বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। খাবার পানির উৎস পুকুরগুলো লোনাপানিতে ভরে গেছে। গৃহহীন হয়ে মানুষ সড়কের ওপর খোলা আকাশের নিচে অবস্থান করছেন। শৌচাগারগুলো নষ্ট হয়ে যাওয়ায় নারীদের কষ্ট আরও বেড়েছে।

বাঁধের কাজ করা লোকজন বলেন, গতকাল বুধবার ভোর থেকে কাজ শুরু করে রিংবাঁধের প্রায় অর্ধেক নির্মাণ করা সম্ভব হয়। বেলা দেড়টার দিকে জোয়ার চলে আসায় আর কাজ করা যায়নি। পরে রাত ৮টার দিকে আবার ভাটা শুরু হলে কাজে নেমে পড়েন স্থানীয় বাসিন্দারা। এ সময় তিনটি খননযন্ত্র দিয়ে কাজ চলে। তাতে কোনো রকমে পানি আটকানো সম্ভব হয়েছে। আজ সকালের ভাটার সময় চলছে রিংবাঁধ টেকসই করার কাজ। বাঁধ টেকসই না হলে আবারও তা ভেঙে যেতে পারে।

শেয়ার করুন