ইউক্রেনের একটি বড় আক্রমণকে ভেস্তে দেওয়া হয়েছে এবং তাদের ২৫০ সেনাকে হত্যা করা হয়েছে বলে জানিয়েছে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়। তবে কিয়েভ থেকে এ বিষয়ে কোনো মন্তব্য করা হয়নি।
সোমবার সকালের দিকে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বিষয়টি জানিয়েছে। রুশ সংবাদমাধ্যম আরটির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।
রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বলছে, রোববার সকালে ইউক্রেনের পূর্বাঞ্চলের দোনবাসের অন্তত পাঁচটি যুদ্ধক্ষেত্রে রুশ বাহিনীর অবস্থান লক্ষ্য করে হামলা চালিয়েছে ইউক্রেন।
ইউক্রেনের প্রাথমিক লক্ষ্য ছিল রাশিয়ার যুদ্ধক্ষেত্রে যেসব পয়েন্ট দুর্বল, সেখানে পাল্টা হামলা চালিয়ে তা ভেদ করা। শত্রুরা সেটি করতে ব্যর্থ হয়েছে এবং তাদের প্রচেষ্টা অসফল হয়েছে—বলছে রাশিয়া।
ইউক্রেনের ক্ষয়ক্ষতির বিষয়টি উল্লেখ করে রাশিয়া জানিয়েছে, এ আক্রমণে ইউক্রেনের অন্তত ২৫০ জনের বেশি সৈন্য নিহত হয়েছে। পাশাপাশি ১৬টি ট্যাঙ্ক, তিনটি পদাতিক যান ও ২১টি সাঁজোয়া যান বিধ্বস্ত হয়েছে।
ইউক্রেনের সামরিক যানের ওপর হামলা চালানোর বিভিন্ন ভিডিও প্রকাশ করেছে রাশিয়া।
মস্কো জানিয়েছে, যুদ্ধক্ষেত্রে ইউক্রেন তাদের কৌশলগত রিজার্ভ থেকে ২৩তম ও ৩১তম মেকানাইজড ব্রিগেড নামিয়েছে। এ ব্রিগেড দুটি অন্যান্য ব্রিগেড বা ইউনিটকে সহায়তা দিচ্ছিল।
গত শনিবার ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির জেলেনস্কি বলেছিলেন, কিয়েভ তার দীর্ঘ পরিকল্পিত পাল্টা আক্রমণ শুরু করতে প্রস্তুত। তবে তার কার্যালয়ের উপপ্রধান পরিচালক ইগর জোভকভা একই দিনে বলেছিলেন, তার দেশ এখনো সফল অভিযান চালানোর জন্য পর্যাপ্ত অস্ত্র ও গোলাবারুদ পায়নি।
এর আগে গত শুক্রবার ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনী দাবি করেছিল, তারা রাশিয়ার ৩৩টি মিসাইল ও ড্রোন ভূপাতিত করেছে।
কিয়েভের সামরিক প্রশাসন প্রধান সেরহি পপকো এক টেলিগ্রাম বার্তায় জানিয়েছিলেন, কিয়েভে ছয় দিন ধরে অবিরাম হামলা চালিয়ে যাচ্ছে রাশিয়া। এটি হামলার ষষ্ঠতম ঢেউ। এ হামলায় ব্যালিস্টিক মিসাইল ও ড্রোন ব্যবহার করছে রাশিয়া।
তিনি বলেছিলেন, হামলার এই ঢেউয়ে ভূমি ও আকাশ থেকে নিক্ষিপ্ত মিসাইল এবং ইরানের তৈরি ‘শাহেদ’ ড্রোনকে পরাস্ত করেছে ইউক্রেনের এয়ার ডিফেন্স। এ সাফল্যে পপকো ইউক্রেনের আকাশ প্রতিরক্ষা ব্যবস্থার প্রশংসা করেন। তবে তিনি হামলায় কোনো ক্ষয়ক্ষতি বা হতাহতের খবর নিশ্চিত করেননি।