জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন কার্যক্রম রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ের আওতাধীন কেন্দ্রীয় সার্ভারের মাধ্যমে পরিচালনা করতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে নির্দেশ দিলেও সংস্থাটি তা বাস্তবায়ন করছে না। কেন্দ্রীয় সার্ভারে পুনরায় ফিরে যাওয়া–না যাওয়ার বিষয়টি স্পষ্ট না করে সংস্থাটির কর্মকর্তারা বলছেন, মানুষের ভোগান্তি কমাতে কাজ চলছে।
প্রায় এক বছর ধরে জন্মনিবন্ধন করা নিয়ে চরম ভোগান্তিতে আছেন ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বাসিন্দারা। এর কারণ, কেন্দ্রীয় সার্ভারের মাধ্যমে এই কার্যক্রম পরিচালনা না করে নিজস্ব সার্ভারে কাজটি করছে সংস্থাটি।
দক্ষিণ সিটির কয়েকজন বাসিন্দার সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সিটি করপোরেশনের নিজস্ব সার্ভারে জন্মনিবন্ধন করা গেলেও পাসপোর্ট করাসহ সরকারি অন্য সেবা পেতে ব্যাপক দুর্ভোগে পড়তে হচ্ছে।
জন্মনিবন্ধন খাতে আয়ের টাকা নিয়ে দ্বন্দ্বের জেরে গত বছরের ৪ অক্টোবরে নিজস্ব সার্ভারে জন্মনিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করেছে ঢাকা দক্ষিণ সিটি। সংস্থাটির নিজস্ব সার্ভারের মাধ্যমে এখন পর্যন্ত ৮০ হাজার বেশি নাগরিকের জন্মনিবন্ধন করা হয়েছে।
এদিকে ১৩ মে দাপ্তরিক এক চিঠির মাধ্যমে নিজস্ব সার্ভার থেকে বেরিয়ে এসে আবারও বার্থ রেজিস্ট্রার জেনারেলের কেন্দ্রীয় সার্ভারে যেতে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনকে (ডিএসসিসি) নির্দেশ দিয়েছে স্থানীয় সরকার বিভাগ। কিন্তু গত ১২ দিনেও এই নির্দেশ পালন করেনি ঢাকা দক্ষিণ সিটি।
জানতে চাইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মিজানুর রহমান মুঠোফোনে প্রথম আলোকে বলেন, জনভোগান্তি কমাতে তাঁরা চেষ্টা করছেন। এটি কীভাবে সমাধান করা যায়, এ নিয়ে তাঁরা কাজ করছেন। এই কর্মকর্তা আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, দ্রুতই বিষয়টির সুরাহা হবে।
রেজিস্ট্রার জেনারেলের কেন্দ্রীয় সার্ভার ব্যবহার করার জন্য স্থানীয় সরকার বিভাগের সিটি করপোরেশন শাখা-১ এর উপসচিব মোহাম্মদ শামছুল ইসলাম ১৩ মে ডিএসসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তাকে এ–সংক্রান্ত একটি চিঠি দিয়েছেন। ওই চিঠিতে বলা হয়েছে, রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ের জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধনের কেন্দ্রীয় সার্ভার ব্যবহার করে দেশের সব স্থানীয় সরকার প্রতিষ্ঠান জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন সেবা দিয়ে আসছে। পুরো প্রক্রিয়া কেন্দ্রীয়ভাবে একটি সার্ভারের মাধ্যমে পরিচালিত ও নিয়ন্ত্রিত হচ্ছে। তাই জনস্বার্থে পৃথক সার্ভারের পরিবর্তে কেন্দ্রীয় সার্ভারের মাধ্যমে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের অধিক্ষেত্রে জন্ম ও মৃত্যুনিবন্ধন কার্যক্রম পরিচালনা করার জন্য নির্দেশক্রমে পুনরায় অনুরোধ করা হলো।