আশ্রয়হীন মানুষ ঘর পাওয়ায় তাদের শত দুঃখের বোঝা হালকা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এ সময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের এই স্বপ্ন পূরণ করতে পেরে সংসদে আবেগতাড়িত হয়ে কাঁদেন প্রধানমন্ত্রী।
বুধবার জাতীয় সংসদে জাতীয় পার্টির সংসদ সদস্য ফখরুল ইমামের সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে আবেগাপ্লুত হয়ে পড়েন প্রধানমন্ত্রী।
সম্পূরক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশ স্বাধীন হওয়ার পর বঙ্গবন্ধুই ভূমিহীন ও গৃহহীনদের জন্য গুচ্ছগ্রাম তৈরির কাজ শুরু করেছিলেন। তার স্বপ্ন ছিল দেশের কোনো মানুষ গৃহহীন, ভূমিহীন ও ঠিকানাবিহীন থাকবে না। এটাই বঙ্গবন্ধুর লক্ষ্য ছিল।
তিনি আরও বলেন, 'ভূমিহীন মানুষদের ঘর দিয়ে তাদের মুখে হাসি ফোটাতে পেরেছি। এর থেকে বড় আনন্দের কিছুই হতে পারে না। সেদিন আনন্দে অঝোরে কেঁদেছিলাম। কারণ এটাই ছিল বাবার স্বপ্ন।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী আবেগাপ্লুত হয়ে কেঁদে ফেলেন।
নিত্যপণ্যের দাম নিয়ন্ত্রণে রাখতে সরকার সারা দেশে মনিটরিং ব্যবস্থা জোরদার করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, নিম্নবিত্তদের মাঝে ভর্তুকি মূল্যে নিত্যপণ্য দেওয়া হচ্ছে। রমজানেও জিনিসপত্রের দাম সহনীয় থাকবে।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদের ১৭তম অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রধানমন্ত্রী আশ্রয়ণ প্রকল্পের ঘর নিয়ে নিজের আনন্দ অনুভূতি প্রকাশ করেন।
১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট পরিবারের সব সদস্যকে হারিয়ে প্রবাসে অসহনীয় জীবন এবং পরবর্তী সময়ে দেশে ফিরে প্রতিহিংসার শিকারের অতীত কষ্টের কথাও সংসদে স্মরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।