দেশের কয়েকটি জেলার ওপর দিয়ে বয়ে চলেছে মৃদু তাপপ্রবাহ। এতে কষ্ট বেড়েছে রোজাদারদের। চৈত্রের শুরুতে গরম বেড়েছে রাজধানী ঢাকায়ও। এ অবস্থা আগামীকাল সোমবারও চলবে। এরপর হালকা বৃষ্টির মধ্য দিয়ে কিছুটা স্বস্তি আসবে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া অধিদপ্তর।
আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, আজ রোববার দেশে এ বছরের প্রথম তাপপ্রবাহ শুরু হয়েছে। রাজশাহী, পাবনা, কুষ্টিয়া, সিরাজগঞ্জ ও রাঙামাটি জেলার ওপর দিয়ে মৃদু তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। আজ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৭ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড হয়েছে কুষ্টিয়ায়। অন্যদিকে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস ছিল সিলেটে।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৩৬ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছে রাজশাহী জেলায়। আর ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল ৩৪ দশমিক ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আজ সন্ধ্যায় আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ মো. বজলুর রশিদ প্রথম আলোকে বলেন, আগামীকাল মৃদু তাপপ্রবাহ শেষ হবে। এরপর হালকা বৃষ্টি হবে। তখন তাপমাত্রা স্বাভাবিক হয়ে আসবে।
এরপর ২০ মার্চ মৃদু থেকে মাঝারি মানের তাপপ্রবাহ শুরু হতে পারে বলে জানান বজলুর রশিদ। তিনি বলেন, গত বছরের তুলনায় এবার এ সময় তাপমাত্রা কম। সচরাচর এপ্রিল মাসেই সর্বাধিক তাপমাত্রা থাকে। তবে এবার গত বছরের এপ্রিলের তুলনায় এ বছরের এপ্রিলে তাপমাত্রা কম থাকবে বলে আশা করা যাচ্ছে।
দেশে মৌসুমের প্রথম এই তাপপ্রবাহের সময় রাজধানীতেও বেশি গরম অনুভূত হচ্ছে। এ বিষয়ে ধানমন্ডির বাসিন্দা আদিবা নুসরাত প্রথম আলোকে বলেন, এই গরমে বাইরে প্রয়োজনীয় কাজ সেরে বাসায় এসে ইফতারি তৈরি করতে খুব কাহিল লাগে। গরমে বিশেষ করে ঘরের বয়স্কদের কষ্ট বাড়ছে।
এ বিষয়ে চিকিৎসক লেনিন চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, এ সময় শুষ্ক আবহাওয়ার কারণে শরীরে পানির চাহিদা বাড়ে। রোজাদারদের জন্য পরামর্শ থাকবে, একসঙ্গে বেশি পানি পান না করে ধীরে ধীরে অল্প পরিমাণে পানি পান করা ভালো।
এ সময় কৃত্রিম রং মেশানো পানীয় এড়িয়ে চলার পরামর্শ দিয়ে এই চিকিৎসক বলেন, সারা দিন রোজা রেখে রাসায়নিক পদার্থমিশ্রিত পানীয় পান করলে কিডনি ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। সবচেয়ে ভালো ইফতার হয় ঘরে বানানো তরমুজ বা লেবুর শরবত পান করলে।