খাগড়াছড়ির রামগড়, পানছড়ি, দীঘিনালা, মানিকছড়ি, মাটিরাঙা ও গুইমারা উপজেলায় মহামান্য হাইকোর্ট এর নির্দেশ অনুযায়ী অবৈধ ও লাইসেন্স ছাড়া পরিচালিত ৩৩ টি ইট ভাটার সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দিয়েছে উপজেলা প্রশাসন।
আজ শনিবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে দিনব্যাপি জেলার উপজেলা পর্যায়ে ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনা করে এসব ইটভাটায় সাইনবোর্ডে ও লাল পতাকা টাঙিয়ে সকল কার্যক্রম বন্ধ করে দেন সংশ্লিষ্ট উপজেলার নির্বাহী ম্যাজিস্টেটগণ।
রামগড় উপজেলা নির্বাহী অফিসার খোন্দকার মো: ইখতিয়ার উদ্দিন আরাফাত এর ভ্রাম্যমান আদালতে রামগড় পৌরসভা এলাকার নুর ইসলাম, হাফেজ আহাম্মদ, মোস্তফা ভূঁইয়া ও আবদুল মান্নান এর মালিকানাধীন ৪টি ইটভাটা এবং ২নং পাতাছড়া ইউনিয়নের দাতারাম পাড়া এলাকার মেগনা ১ ও মেগনা ২, আপন, জনতা ও এসএস নামে উপজেলার মোট ৯টি অবৈধ ইটভাটাকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
পানছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রুবাইয়া আফরোজ এর ভ্রাম্যমান আদালেতর মাধ্যমে পানছড়ি উপজেলার লোগাং ইউনিয়নের মো. মোস্তফা ও সেলিম ব্রাদার্স এর মালিকানাধীন ১টি ইটভাটা এবং লতিবান ইউনিয়নের নালকাটা এলাকায় মো. মনির আহাম্মদের মালিকানাধীন এমএসআর (বি এন্ড এম)নামে ১টি ও একই স্থানে রফিকুল ইসলাম বাদলের সততা নামের ১টি সহ মোট ৩টি ইটভাটাকে বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিস্টেট ফাহমিদা মুস্তফা এর ভ্রাম্যমান আদালতে উপজেলার হেডম্যান পাড়ার এডিবি ব্রিক ফিল্ড রসিকনগর এলাকার মেসার্স সেলিম এন্ড ব্রাদার্স নামে ২টি ইটভাটা বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
মানিকছড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট রুম্পা ঘোষ এর পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালতে বিকেলে উপজেলার ২টি ইটভাটা বন্ধ করে দেয় উপজেলা প্রশাসন।
এর আগে গতকাল ও আজ মাটিরাঙায় উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট আফরোজা হাবিব শাপলা এর পরিচালিত ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে উপজেলার ১২টি ইটভাটা বন্ধ করে দেয় উপজেলা প্রশাসন।
গতকাল গুইমারা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও ভ্রাম্যমান আদালতের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট তুষার আহমেদ এর ভ্রাম্যমান আদালতের মাধ্যমে উপজেলার এস বি এম ব্রীকফিল্ড, ফোরষ্টার ব্রীকফিল্ড, তারা ব্রীকফিল্ড, মদিনা ব্রীকফিল্ড ও সিন্দুকছড়ি ব্রীকফিল্ড সহ উপজেলার ৫টি ইটভাটার বন্ধ করে দেয়া হয়।
ভ্রাম্যমান আদালত সূত্রে জানা গেছে, মহামান্য হাইকোর্টের রিট পিটিশন ১২০৪/২০২২ এর ২৫ জানুয়ারীর আদেশ মোতাবেক ইট ভাটাসমূহের মালিকদের ইট বানানো, জ্বালানি পোড়ানো, শ্রমিক কাজ করাসহ ইট ভাটার সকল কার্যক্রম বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে।