“কৃষক বাঁচাও-দেশ বাঁচাও” শ্লোগানে পথচলা বাংলাদেশ কৃষক লীগের খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা ও পৌর শাখার ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন নানা আয়োজনে অনুষ্ঠিত হয়েছে খাগড়াছড়িতে।
শনিবার (১০ ডিসেম্বর) সকালে জেলা শহরের নারিকেল বাগানন্থ দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন, অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি ভারত প্রত্যাগত শরণার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স চেয়ারম্যান ও খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি।
নেতাকর্মীদের উৎসব মুখোর পরিবেশে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন শেষে বেলুন উড়ান অতিথিরা। পরে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দলীয় কার্যালয়ে আত্মত্যাগীদের স্মরণে এক মিনিট নীরবতা শেষে সম্মেলনের উদ্বোধন ঘোষনা করেন, বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক এড. উম্মে হাবিবা।
আয়োজিত সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির আহবায়ক মো. জালাল আহমেদ এর সভাপতিত্বে খাগড়াছড়ি জেলা কৃষক লীগের সদস্য সচিব খোকন চাকমা ও সম্মেলন প্রস্তুতি কমিটির সদস্য সচিব চন্দন ত্রিপুরার সঞ্চালনায় এতে প্রধান বক্তা ছিলেন, কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আরমান চৌধুরী। এতে বিশেষ অতিথি ছিলেন, খাগড়াছড়ি জেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি কল্যাণ মিত্র বড়ুয়া, খাগড়াছড়ি জেলা কৃষক লীগের আহবায়ক পিন্টু ভট্টাচার্য প্রমুখ।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে সম্মেলনে কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা এমপি বলেন, বিএনপি মিথ্যাচারের দল, বিএনপি অত্যাচারের দল। তাই খাগড়াছড়িতে বিএনপির ঠাঁই নাই বলে হুশিয়ারী জানান তিনি। এ সময় তিনি আরো বলেন, তারা দেশের শান্তি চায় না। পাহাড়ের সরকার যখন শান্তি চুক্তি করে ছিলো তখনও তারা পার্বত্য চট্টগ্রাম থেকে সাধারন মানুষ বিতাড়িত হবে বলে মিথ্যাচার করে ছিলো। কিন্তু এখন সম্প্রীতিতে বসবাস করছে সকল সম্প্রদায়ের পাহাড়ে মানুষ। তাই মিথ্যাচারীদের এ খাগড়াছড়িতে জায়গা হবে না বলে তিনি হুশিয়ারী দেন।
বিএনপি মানুষের কল্যাণ চায় না বলেও তিনি মন্তব্য করে পাহাড়ে আওয়ামীলীগ শান্তির দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে বলে জানিয়ে এমপি কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা বলেন, দেশে বিশৃঙ্খলা করার চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এ সময় তিনি বিএনপিকে গুম,খুন, মিথ্যা মামলা ও লুটপাটের রাজনীতিতে বিশ^াসী বলেও দাবী করে বিএনপি জ¦ালাও-পোড়াও করে নৈরাজ্য সৃষ্টির পায়তারা আর কোন দিন সফল করতে দেওয়া হবে না বলে তিনি হুশিয়ারী জানান।
সম্মেলনের শেষ অংশে বাংলাদেশ কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় স্থানীয় সরকার বিষয়ক সম্পাদক এড. উম্মে হাবিবা ও কৃষক লীগের কেন্দ্রীয় সহ আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক আরমান চৌধুরী আগামী ৩ বছরের জন্য এস এম খোরশেদ আলমকে খাগড়াছড়ি সদর উপজেলা কৃষক লীগের সভাপতি ও চন্দন ত্রিপুরা সাধারন সম্পাদক এবং স্বপন কুমার দে’কে খাগড়াছড়ি পৌর শাখার সভাপতি ও সুশীল মারমাকে সাধারন সম্পাদক ঘোষনা করেন। দুই কমিটির আগামী ১ মাসের মধ্যে পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠনের নির্দেশ দেওয়া হয়।