নীলফামারীর ডোমারে রেললাইনের ফিসপ্লেট ক্লিপ খুলে ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। এলাকাবাসীর প্রতিরোধে বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে চিলাহাটি থেকে খুলনাগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেন।
বুধবার রাত ১০টার দিকে উপজেলার বোড়াগাড়ী ইউনিয়নের বাগডোকরা প্রধানপাড়া দোলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় ডোমার-চিলাহাটি রেলপথে প্রায় দেড় ঘণ্টা ট্রেন চলাচল বন্ধ ছিল।
স্থানীয়রা জানান, বুধবার রাতে ওই এলাকায় রেললাইনের লোহা খোলার শব্দ শুনতে পাওয়া যায়। এগিয়ে গিয়ে দেখা যায়, একদল দুর্বৃত্ত রেললাইনের ফিসপ্লেট পিন খুলছে। এ সময় লোকজন জোটবদ্ধ হয়ে তাদের ধাওয়া করলে তারা পালিয়ে যায়।
ওই গ্রামের হরিদাস চন্দ্র রায় বলেন, ঘটনার পর চিলাহাটি থেকে খুলনাগামী সীমান্ত এক্সপ্রেস ট্রেনটি আসছিল। এ সময় ঘটনাস্থলে ৩০০ থেকে ৪০০ লোকজন উপস্থিত ছিলেন। তারা সবাই বিভিন্নভাবে সংকেত দিতে থাকলে ট্রেনটি থেমে যায়। এতে করে বড় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পায় ট্রেনটি।
জোড়াবাড়ি ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান সাখাওয়াৎ হাবীব বাবু বলেন, ঘটনাটি আমার ইউনিয়নের সীমানায় ঘটেছে। আমি গিয়ে রেললাইনের বিভিন্ন স্থানে ফিসপ্লেট ক্লিপ খোলা দেখতে পেয়েছি। এলাকাবাসীর সচেতনতায় দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা পেয়েছে ট্রেনটি।
বোড়াগাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আমিনুল ইসলাম রিমন বলেন, এলাকাবাসীর ধাওয়ায় দুর্বৃত্তরা পালিয়ে যায়। পরে তাদের ফেলে যাওয়া একটি বস্তা থেকে ৭২ পিস ফিসপ্লেট ক্লিপ উদ্ধার করা হয়। এর পর রেলের লোকজন এসে লাইন মেরামত করলে প্রায় দেড় ঘণ্টা পর খুলনার উদ্দেশে ছেড়ে যায় ট্রেনটি।
নীলফামারী স্টেশনমাস্টার ওবায়দুর রহমান রতন বলেন, লাইন মেরামতের পর প্রায় দেড় ঘণ্টা পর ট্রেনটি সেখান থেকে ছেড়ে আসে। অন্যদিকে রাজশাহী থেকে ছেড়ে আসা বরেন্দ্র একপ্রেস ট্রেনটিও দেড় ঘণ্টা আটকা পড়ে ডোমার স্টেশনে।
এর আগে গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলার রাজেন্দ্রপুর স্টেশনের অদূরে বুধবার ভোরে গ্যাসকাটার দিয়ে লাইন কেটে ট্রেনে নাশকতা চালায় দুর্বৃত্তরা। এতে নেত্রকোনার মোহনগঞ্জ থেকে ছেড়ে আসা মোহনগঞ্জ এক্সপ্রেসের ইঞ্জিনসহ সাতটি কোচ লাইনচ্যুত হয়ে পড়ে এবং ৬০০ ফুট রেল ক্ষতিগ্রস্ত হয়। একজন নিহতসহ অন্তত ১২ জন আহত হন।