মাদক ব্যবসার টাকায় কক্সবাজার শহরের ঘোনার পাড়ার জমি কিনে ছয়তলা ভবন নির্মাণ করেন টেকনাফের হ্নীলা ইউনিয়নের বাজারপাড়ার ফকির চন্দ্র ধরের ছেলে নির্মল ধর। আজ বুধবার দুপুরে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) একটি মামলার রায়ে নির্মল ধরের ৩ দশমিক ৩৩ শতক জমির ওপর কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত ছয়তলা একটি ভবন ক্রোকের (জব্দ) নির্দেশ দেন কক্সবাজার সিনিয়র স্পেশাল জজ আদালত।
একই সঙ্গে নির্মল ধরের স্ত্রী দিপ্তি রানী ধরের টেকনাফের হ্নীলা শাখার কৃষি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট স্থগিতের (ফ্রিজ) আদেশ দেওয়া হয়।
দুদক কক্সবাজার কাযালয়ের উপপরিচালক সুবল আহমদ প্রথম আলোকে বলেন, ভবনটি দুদকের নিয়ন্ত্রণে আনা হয়েছে। আসামি নির্মল ধর জামিনে মুক্ত আছেন। ক্রোকের নির্দেশের সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, মাদক ব্যবসা করে নির্মল ধর কোটিপতি হন। অভিযোগের ভিত্তিতে ২০১৯ সালের ১২ মার্চ নির্মল ধরকে সম্পদ বিবরণী দাখিলের নোটিশ পাঠায় দুদক। জবাব না দেওয়ায় দ্বিতীয় দফায় ২০২০ সালের ২২ সেপ্টেম্বর নোটিশ পাঠানো হয়। একই সালের ১২ অক্টোবর সম্পদের বিবরণী দাখিল করেন নির্মল ধর। তাতে ১ কোটি ৭৮ লাখ ৩০ হাজার ৭৬৮ হাজার টাকার স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য গোপন করা হয়। এই পরিমাণ অবৈধ সম্পদ ভোগদখলে রেখে নির্মল ধর দুর্নীতি দমন কমিশন আইনের শাস্তিযোগ্য অপরাধ করেছেন। সম্পদ বিবরণীতে তিনি ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকার স্থাবর সম্পদ অর্জনের তথ্য দেন।
মামলা এজাহারে আরও বলা হয়, কক্সবাজার শহরের ঘোনার পাড়াতে ৫ লাখ ৭২ হাজার ৫৮৫ টাকায় কেনা ৩ দশমিক ৩৩ শতক জমির ওপর ১ কোটি ৯ লাখ ৬১ হাজার টাকা খরচে নির্মিত ছয় ভবনের তথ্য গোপন করেন নির্মল ধর। এ ব্যাপারে নির্মল ধরের বিরুদ্ধে ২০২৩ সালের ১২ সেপ্টেম্বর মামলা করেন দুদক কক্সবাজার কাযালয়ের উপসহকারী পরিচালক পার্থ চন্দ্র পাল।