শিল্পে নতুন সচিব, দু-এক দিনের মধ্যে আরও ৯ সচিব
সিএইচটি টিভি ডেস্ক
  • প্রকাশিত : 23-02-2025
ফাইল ছবি : সংগৃহীত

নতুন শিল্পসচিব হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (এপিডি অনুবিভাগ) মো. ওবায়দুর রহমান। এ ছাড়া দু-এক দিনের মধ্যে আরও নয়জনকে সচিবপদে শূন্য থাকা মন্ত্রণালয় ও বিভাগে পদায়ন করা হবে।

এই তথ্য জানিয়েছেন জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমান। আজ রোববার দুপুরে সচিবালয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এই তথ্য জানান।

মোখলেস উর রহমান বলেন, চারটি সুপিরিয়র সিলেকশন বোর্ডের সভায় সচিবপদের জন্য ১২ জনকে নির্বাচন করা হয়েছে। তাঁরা অধিকাংশই যোগ্য ও বঞ্চিত। তাঁদের মধ্যে কেউ চুক্তিতে নন। চাকরিতে কর্মরতদের মধ্যে থেকেই সচিব করা হচ্ছে।

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমান

জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমানফাইল ছবি

 

 

সাবেক ডিসিদের বিষয়ে যা বললেন

বিতর্কিত নির্বাচনে দায়িত্ব পালন করা সাবেক জেলা প্রশাসক (ডিসি) বা অন্য কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার বিষয়ে মোখলেস উর রহমান বলেন, ‘যাঁদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে, তাঁদের কাউকে ওএসডি, কাউকে বাধ্যতামূলক অবসরে পাঠানো হয়েছে। আরেকটি বিষয় হলো, যাঁরা অর্থনৈতিক অপরাধ করেছেন বলে অভিযোগ আছে, সে ব্যাপারে বিভিন্ন সংস্থা এবং নিজস্ব ব্যবস্থায় যদি দেখা যায় ঘটনা সত্যি সত্যি ঘটেছে, শুধু সেই অভিযোগগুলো দুর্নীতি দমন কমিশনে (দুদক) পাঠানো হবে। এটা সাধারণীকরণ করা হবে না। যাঁদের নামে অপপ্রচার আছে বা অপরাধের সঙ্গে জড়িত নন বা এ ধরনের কিছুই করেননি, সাময়িকভাবে ওএসডি হয়েছেন, তাঁরা খুব সাধারণ জীবন যাপন করবেন, এতে কোনো সমস্যা না। এখানে সরকারের পক্ষপাত নেই। সরকার অত্যন্ত সচেতনভাবে কাজটি করবে, যাতে একজনও নিরীহ কর্মকর্তার যেন কোনো অসম্মান না হয়।’

 

২০২৪ সালের নির্বাচনে রিটার্নিং কর্মকর্তার দায়িত্বে থাকা সাবেক জেলার প্রশাসকদের (ডিসি) বিষয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জ্যেষ্ঠ সচিব মোখলেস উর রহমান বলেন, ‘এ বিষয়ে পুরো তালিকা গোয়েন্দা সংস্থার কাছে পাঠানো হয়েছে। সেগুলো আসার পর বিবেচনা করা হবে। এ বিষয়ে চারজন উপদেষ্টার সমন্বয়ে একটি কমিটি আছে। সেই কমিটিতে এগুলো বিশ্লেষণ করা হবে এবং তা ধীরেসুস্থে হবে। পক্ষপাত বা কোনো কিছুর বশবর্তী হয়ে কোনো সিদ্ধান্ত হবে না। সব সিদ্ধান্ত হবে নিয়মনীতির মাধ্যমে। একজন কর্মকর্তাও যেন ক্ষতিগ্রস্ত (ভিকটিম) না হন, সেটি দেখা হবে।’

 


 

শেয়ার করুন