রাজধানীর গাবতলীর পশুর হাটের জন্য সরকারনির্ধারিত দর ছিল ১৪ কোটি ৬১ লাখ ৭৯ হাজার টাকা। সর্বোচ্চ দর পড়েছিল সোয়া ২২ কোটি টাকা, যা নির্ধারিত দরের চেয়ে সাত কোটি টাকার বেশি। সঙ্গে আরও ২৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর ও আয়কর (ভ্যাট ও আইটি) রাজস্ব খাতে যুক্ত হতো। তবে সর্বোচ্চ দরদাতাকে হাটের ইজারা দেয়নি ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
ইজারার বদলে গাবতলী হাটে এখন খাস আদায় করাচ্ছেন করপোরেশনের প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ। ইজারা দিলে সব মিলিয়ে এই হাট থেকে সরকারের দৈনিক সাড়ে সাত লাখ টাকার বেশি আয় হতো। সেখানে খাস আদায়ে গিয়ে ১৫ থেকে ২০ এপ্রিল—এই ছয় দিনে ওই পরিমাণ টাকা আয় করতে পারেনি সংস্থাটি। ছয় দিনে মোট আয় হয়েছে সাড়ে পাঁচ লাখ টাকার মতো।
ডিএনসিসির একাধিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা নাম না প্রকাশের শর্তে প্রথম আলোকে বলেন, গাবতলী হাটের দরপত্রপ্রক্রিয়ায় প্রশাসকের পছন্দের ব্যক্তি সর্বোচ্চ দরদাতা হতে পারেননি। তাই তিনি দরপত্র আহ্বানে প্রক্রিয়াগত ভুল দেখিয়ে ইজারার পরিবর্তে খাস আদায়ের সিদ্ধান্ত দিয়েছেন। বাস্তবে খাস আদায়ের নামে ওই হাট থেকে হাসিল আদায় করছেন প্রশাসকের পছন্দের দরদাতা ও তাঁর লোকজন।
যদিও দরপত্র বাতিল ও খাস আদায়ের বিষয়ে প্রশাসকের দাবি, হাট ইজারার দরপত্রপ্রক্রিয়া যথাযথ পদ্ধতিতে হয়নি। স্থানীয় সরকার বিভাগের ইজারা-সম্পর্কিত নীতিমালায় দরপত্রের বিজ্ঞপ্তিটি সেন্ট্রাল প্রকিউরমেন্ট টেকনিক্যাল ইউনিটের (সিপিটিইউ—বর্তমান নাম বাংলাদেশ পাবলিক প্রকিউরমেন্ট অথরিটি বা বিপিপিএ) ওয়েবসাইটে প্রকাশের বিধান থাকলেও তা করা হয়নি।
তবে সিপিটিইউর একাধিক কর্মকর্তা ও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, হাট ইজারার বিষয়টি সরকারি কেনাকাটার মধ্যে পড়ে না। সিপিটিইউর ওয়েবসাইটে এ-সংক্রান্ত বিজ্ঞপ্তি প্রকাশও হয় না। ইজারাপ্রক্রিয়ায় যুক্ত কর্মকর্তারাও হাট ইজারার বিজ্ঞপ্তি সিপিটিইউর ওয়েবসাইটে প্রকাশ না করার বিষয়টি জানিয়েছেন। নিয়ম অনুযায়ী বিজ্ঞপ্তির অনুলিপি সিপিটিইউতে পাঠানো হয়েছিল বলেও জানান তাঁরা।
গাবতলী হাট নিয়ে যা শুনলাম, তা সম্পূর্ণ আইনবিরোধী। কোনো বিশেষ মহলকে সুবিধা দেওয়ার জন্য এই পথ অনুসরণ করা হয়েছে কি না, এটা খতিয়ে দেখা দরকার এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করা প্রয়োজন।
ইফতেখারুজ্জামান, নির্বাহী পরিচালক, টিআইবি
দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির সভার কার্যবিবরণী অনুযায়ী, হাট ইজারা দিতে গত ৩ মার্চ দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে সম্পত্তি বিভাগ। তিনটি জাতীয় পত্রিকায় ওই বিজ্ঞপ্তি ছাপা হয়। গত ১৮ মার্চ পর্যন্ত মোট ৮টি শিডিউল বিক্রি হয়। ১৯ মার্চ বিকেলে ৫টি দরপত্র পাওয়া যায়।
গাবতলী হাটের গত তিন বছরের ইজারামূল্যের গড় দামের সঙ্গে ৬ শতাংশ যুক্ত করার পর সরকারনির্ধারিত মূল্য ছিল ১৪ কোটি ৬১ লাখ ৭৯ হাজার ৩০০ টাকা। হাট ইজারা নিতে কাঙ্ক্ষিত পাঁচটি প্রতিষ্ঠানের মধ্যে সর্বোচ্চ দর পাওয়া যায় সোয়া ২২ কোটি টাকা। এর সঙ্গে ১৫ শতাংশ মূল্য সংযোজন কর ও ১০ শতাংশ আয়কর মিলিয়ে সরকারের রাজস্ব খাতে জমা হতো মোট ২৭ কোটি ৮১ লাখ ২৫ হাজার টাকা।
সর্বোচ্চ দর দিয়েছিল মেসার্স আরাত মোটরের স্বত্বাধিকারী আরাত হানিফ। মূল্যায়ন কমিটির সভার কার্যবিবরণীতে হানিফের দেওয়া ৭ কোটি টাকার পে-অর্ডারসহ অন্যান্য কাগজ সঠিক রয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়। সরকারনির্ধারিত দরের চেয়ে ৩ লাখ ২০ হাজার টাকা বেশি (১৪ কোটি ৬৫ লাখ) দিয়ে তৃতীয় সর্বোচ্চ দরদাতা হয়েছিলেন রাইয়ান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী সাইদুল ইসলাম। বাকি প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে দুটি প্রতিষ্ঠান জামানতের পে-অর্ডার জমা দেয়নি, একটির পে-অর্ডার ছিল ভুয়া।
দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির প্রধান ছিলেন ডিএনসিসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. কামরুজ্জামান। মূল্যায়ন কমিটিতে ডিএনসিসির পাঁচটি বিভাগের বিভাগীয় প্রধান এবং নিরীক্ষা কর্মকর্তা ছিলেন। ৭ এপ্রিল হওয়া মূল্যায়ন কমিটির সভায় সর্বসম্মতিতে সর্বোচ্চ দরদাতা মেসার্স আরাত মোটরকে ইজারা দেওয়ার সুপারিশ করা হয়।
তবে কমিটির সুপারিশের বিষয়ে ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ বলেন, দরপত্রপ্রক্রিয়ার ভুল মূল্যায়ন কমিটির সদস্যরা ধরতে পারেননি। তাঁদের এই ধরতে না পারাটা দুঃখজনক।
দরপত্রপ্রক্রিয়ার সঙ্গে যুক্ত কর্মকর্তারা বলছেন, শুরু থেকেই প্রশাসকের পছন্দের ব্যক্তিকে ইজারা পাইয়ে দিতে তাঁদের নানাভাবে চাপ দেওয়া হয়। প্রশাসকের পছন্দের ব্যক্তি রাইয়ান এন্টারপ্রাইজের স্বত্বাধিকারী সাইদুল। তিনি ঢাকা মহানগর উত্তর স্বেচ্ছাসেবক দলের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক।
বিএনপির স্থানীয় নেতা-কর্মীরা জানিয়েছেন, সাইদুল মূলত দারুস সালাম থানা বিএনপির আহ্বায়ক এস এ সিদ্দিকের (সাজু) ঘনিষ্ঠ। সিদ্দিক নিজেও হাটের জন্য জামানতের পে-অর্ডার ছাড়া দরপত্র দাখিল করেছিলেন। কর্মকর্তারা জানান, হাট পেতে শুরু থেকে দৌড়ঝাঁপ করেন সিদ্দিকের চাচাতো ভাই নবীউল্লাহ (বাবু)। তিনি সিদ্দিকের বাবা এস এ খালেকের চাচাতো ভাই হাকিম মহাজনের ছেলে।
সিটি করপোরেশনে প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজের সঙ্গে, করপোরেশনে প্রশাসকের কক্ষে নবীউল্লাহর একটি ছবি হাতে পেয়েছে প্রথম আলো।
সরেজমিনে ২৩ এপ্রিল গাবতলী হাটে গিয়ে দেখা যায়, হাসিল ঘরে টাকা আদায়ের কাজ করছেন জোহেব হাসান নামের এক ব্যক্তিসহ তিনজন। পাশে অলস বসে আছেন ডিএনসিসির সম্পত্তি বিভাগের একজন কর্মী।
জোহেব নিজেকে ক্যাশিয়ার বলে পরিচয় দিয়ে বলেন, তিনিসহ যাঁরা হাটে কাজ করছেন, তাঁদের বসিয়েছেন সোহেল রহমান (ঢাকা মহানগর পশ্চিম ছাত্রদলের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক)। হাটের সার্বিক তত্ত্বাবধান করছেন সাইদুল। সাইদুল, সোহেলসহ তাঁরা সিদ্দিকের সঙ্গে বিএনপির রাজনীতি করেন।
জোহেব আরও জানান, সাইদুল বা সোহেল এসে টাকা বুঝে নেন। খরচ রেখে বাকি টাকা করপোরেশনের প্রতিনিধির কাছে দিয়ে দেন। বেশির ভাগ সময় এ কাজ করেন সোহেল। নবীউল্লাহ সাধারণত হাটে যান না বলেও জানান জোহেব।
জানতে চাইলে সাইদুল ইসলাম প্রথম আলোকে বলেন, কিছু লোক দৈনিক মজুরিতে তাঁদের সহযোগিতার জন্য নেওয়া হয়েছে। তাঁরা করপোরেশনকে সহযোগিতা করছেন।
যদিও বাইরের কোনো লোককে স্বেচ্ছাসেবকের দায়িত্ব দেওয়ার বিষয়টি জানেন না ডিএনসিসির অঞ্চল-৪-এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা জালাল উদ্দিন।
সর্বোচ্চ দরদাতা আরাত মোটরের উপদেষ্টা কফিল উদ্দিন প্রথম আলোকে বলেন, ‘পয়লা বৈশাখের দিন হাট বুঝিয়ে দেওয়ার কথা। এখনো তা করা হয়নি। ইজারা দেবে না, এমন কোনো সিদ্ধান্তও জানায়নি। আমাদের পে-অর্ডার এখনো করপোরেশনে জমা আছে।’
দরপত্র মূল্যায়ন কমিটির ৭ এপ্রিলের সভার সুপারিশের পরিপ্রেক্ষিতে হাটের ইজারার বিষয়টি অনুমোদনের জন্য প্রশাসকের কাছে পাঠানো হয়। ১৩ এপ্রিল প্রশাসক সিদ্ধান্ত দেন, ‘সংশ্লিষ্ট নীতিমালা (হাটবাজার ইজারার) অনুচ্ছেদ ২ দশমিক ৭ মোতাবেক ইজারা বিজ্ঞপ্তি সিপিটিইউর ওয়েবসাইটে প্রদান না করায় এই দরপত্রে বিধির ব্যত্যয় হয়েছে। পুনর্দরপত্রের প্রস্তুতি নেওয়া যেতে পারে।’
আগের ইজারার মেয়াদ শেষ হওয়ায় নীতিমালার ২ দশমিক ১০ অনুচ্ছেদ মোতাবেক খাস আদায়ের পদক্ষেপ নিতেও নির্দেশ দেন প্রশাসক। ১৫ এপ্রিল গাবতলী হাট ইজারার পুনর্দরপত্রের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নথি উপস্থাপন করেন তখনকার প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা মো. নুরুজ্জামান। কিন্তু সাত কর্মদিবস (২২ এপ্রিল) পেরিয়ে গেলেও এখনো এর অনুমোদন হয়নি। উল্লেখ্য, নুরুজ্জামানকে ১৬ এপ্রিল বীমা উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষের পরিচালক হিসেবে বদলি করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ডিএনসিসির প্রশাসক মোহাম্মদ এজাজ প্রথম আলোকে বলেন, কোরবানির ঈদ (পবিত্র ঈদুল আজহা) সামনে চলে এসেছে। এখন পুনরায় দরপত্র বিজ্ঞপ্তি দিয়ে, যাচাই করে ইজারাদার নিয়োগ হয়তো সম্ভব হবে না। কোরবানির পরে গিয়ে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
কর্মকর্তারা বলছেন, ঈদুল আজহার সময়েই গাবতলী হাটে সবচেয়ে বেশি বেচাবিক্রি হয়। কোরবানির সময়ে শতকরা ৫ শতাংশ হারে হাসিল আদায়ের সুযোগও থাকে। বছরের অন্য সময়ে নেওয়া যায় সাড়ে ৩ শতাংশ। দরদাতারা এই সময়কে হিসাবে রেখেই দর দেন। হাসিল আদায়ের চক্রটি সেই কোরবানির হাটকেই ‘টার্গেট’ করেছেন।
এ ক্ষেত্রে দুটি বিষয়ের উল্লেখ করেন কর্মকর্তারা। প্রথমত, কোরবানির সময় প্রচুর আয় হয়। এখানে নয়ছয় ও লুটপাটের সুযোগ রয়েছে। দ্বিতীয়ত, কোরবানির শেষে সরকারি দরের চেয়ে বেশি দামে ইজারা নিতে আগ্রহী দরদাতা পাওয়া যাবে না। তখন নীতিমালা অনুযায়ী তিন দফা দরপত্র আহ্বানের পর আবার খাস আদায়ে যাওয়ার সুযোগ হবে।
সরকারি হাটবাজারগুলোর ব্যবস্থাপনা, ইজারাপদ্ধতি এবং আয় বণ্টন-সম্পর্কিত নীতিমালা অনুযায়ী দরপত্রপ্রক্রিয়া যথাযথ হয়নি উল্লেখ করে গাবতলী হাট ইজারা দেননি প্রশাসক এজাজ। নীতিমালার ২ দশমিক ৭ অনুচ্ছেদে রয়েছে, হাটের ইজারামূল্য এক কোটি টাকার বেশি হলে ইজারা বিজ্ঞপ্তি সিপিটিইউর ওয়েবসাইটে দিতে হবে।
কিন্তু হাটের ইজারা সরকারি কেনাকাটা (ক্রয়কার্য) না হওয়ায় এ-সংক্রান্ত দরপত্রের বিজ্ঞপ্তি তাদের ওয়েবসাইটে প্রকাশের সুযোগ নেই বলে জানিয়েছেন সিপিটিইউর (বর্তমান বিপিপিএ) কর্মকর্তারা। অবশ্য তাঁরা কেউ নাম প্রকাশ করে মন্তব্য করতে রাজি হননি।
জানতে চাইলে সিপিটিইউর সাবেক মহাপরিচালক ফারুক হোসেন প্রথম আলোকে বলেন, ইজারা পাবলিক প্রকিউরমেন্ট (সরকারি ক্রয়) নয়। ইজারার প্রক্রিয়া পিপিআর (সরকারি ক্রয় নীতিমালা) অনুযায়ী হয় না। যেহেতু পিপিআর এখানে প্রযোজ্য না, সেহেতু সিপিটিইউ এটা নেবে না, ওয়েবসাইটে দেবেও না। নীতিমালায় বলা থাকলে এটা তাদের (ডিএনসিসি) নিয়ম; তারা নিজেরা করেছে।
এ প্রসঙ্গে মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘আমাদের ম্যানুয়ালে যেটা লেখা আছে, আমরা সেটা ফলো (অনুসরণ) করছি। আইনের বাইরে আমরা যাব না। কোনো অবৈধ কাজ করা হবে না।’
পছন্দের ব্যক্তিকে ইজারা পাইয়ে দেওয়ার চাপের বিষয়ে কর্মকর্তাদের অভিযোগ নিয়ে মোহাম্মদ এজাজ বলেন, ‘এটা মিথ্যা কথা। আমরা নিজেরাই খাস আদায় করছি। আমার অফিসের কেউ বলে থাকলে তাঁরা মিথ্যা বলছেন। আওয়ামী লীগের ইনস্টলেশন অনেক বেশি ছিল। এখনো ফ্যাসিবাদের লোকজন রয়ে গেছে।’
বাইরের লোকজনের খাস আদায়ের বিষয়ে ডিএনসিসি প্রশাসকের ভাষ্য, খাস আদায়ের কমিটি করে কর্মকর্তাদের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাঁরা বাইরের লোক কেন বসিয়েছেন, তাঁদের জিজ্ঞেস করতে হবে। এর দায়ভার তাঁদেরই নিতে হবে।
গাবতলী হাটটি ঢাকা উত্তর সিটির আওতাধীন একমাত্র স্থায়ী পশুর হাট। হাটটি এক বছর মেয়াদে (৩৬৫ দিন) ইজারা দেওয়া হয়। প্রতিবছর বাংলা নববর্ষের আগে শুরু হয় ইজারা দেওয়ার প্রক্রিয়া। বৈশাখের প্রথম দিনে হাটটি নতুন ইজারাদারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
সার্বিক বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করা হলে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান প্রথম আলোকে বলেন, গাবতলী হাট নিয়ে যা শুনলাম, তা সম্পূর্ণ আইনবিরোধী। কোনো বিশেষ মহলকে সুবিধা দেওয়ার জন্য এই পথ অনুসরণ করা হয়েছে কি না, এটা খতিয়ে দেখা দরকার এবং জবাবদিহি নিশ্চিত করা প্রয়োজন।