ফরিদপুর-৩ (সদর) আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের (ঈগল প্রতীক) প্রধান নির্বাচনী এজেন্ট শামসুল হককে মারধর করা হয়েছে। তাঁর মাথায় চারটি সেলাই পড়েছে। স্বতন্ত্র প্রার্থীর কর্মী-সমর্থকদের অভিযোগ, চর মাধবদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পলাশ ব্যাপারীর নেতৃত্বে নৌকার নেতা-কর্মীরা এ হামলা চালান।
শনিবার বিকেল সাড়ে চারটার দিকে সদর উপজেলার চর মাধবদিয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মফিজউদ্দিন ডাঙ্গী গ্রামে বাবুর দোকানের সামনে শামসুল হক ওরফে ভোলা মাস্টারের (৭৮) ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটে। শামসুল হক জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সহসভাপতি।
আহত শামসুল হককে ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। হাসপাতালের পরিচালক এনামুল হক বলেন, শামসুল হক চিকিৎসাধীন। তাঁর মাথায় চারটি সেলাই দেওয়া হয়েছে। তাঁকে বিভিন্ন পরীক্ষা করতে বলা হয়েছে।
ঘটনার দুই প্রত্যক্ষদর্শী জানান, শামসুল হক বিকেলে খলিল মণ্ডলের হাট এলাকা থেকে চর মাধবদিয়া বাজার এলাকায় যাচ্ছিলেন। পথে তিনি মফিজউদ্দিন ডাঙ্গী গ্রামে বাবুর দোকানের সামনে দাঁড়িয়ে ভোট চাইছিলেন। ওই সময় কয়েকজন তরুণ সে দৃশ্য ভিডিওতে ধারণ করেন। ওই সময় শামসুল হক ওই তরুণদের ধমক দেন।
এ সময় চর মাধবদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পলাশ ব্যাপারীর নেতৃত্বে নৌকার নেতা-কর্মীরা ‘ধর ধর ভোলা মাস্টারকে ধর’ স্লোগান দিতে দিতে এসে শামসুল হকের ওপর হামলা চালান।
হামলাকারীদের লাঠির আঘাতে শামসুল হকের মাথা ফেটে যায়। পরে হামলাকারীরা শামসুল হকের গাড়ির কাচ ভাঙচুর করে। এ সময় শামসুল হকের সহযাত্রী পান্নু, সজিব, খোকন সর্দার, কাইয়ুম হাসানকেও মারধর করা হয়। পরে এলাকাবাসী আহত শামসুল হককে উদ্ধার করে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে চর মাধবদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পলাশ ব্যাপারীর মুঠোফোন বন্ধ থাকায় তাঁর বক্তব্য জানা যায়নি। তবে চর মাধবদিয়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি এবং ওই ইউনিয়নের ইউপি চেয়ারম্যান তুহিনুর রহমান মণ্ডল বলেন, তিনি শামসুল হকের ওপর হামলার ঘটনা শুনেছেন। তাঁর (শামসুল হক) চাচাতো ভাতিজাদের সঙ্গে বচসার ফলে এ ঘটনা ঘটে। শামসুল হকের ভাতিজারা নৌকার সমর্থক।
এ বিষয়ে স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে আজাদের নির্বাচনী সমন্বয়ক শোয়েবুল ইসলাম জানান, তাঁরা এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি নিচ্ছেন।