আমরা তীব্র ক্ষোভের সাথে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে জনলাম যে, দেশের বেসরকারী বিশ^বিদ্যালয়ের অন্যতম নর্থ সাউথ বিশ্ববিদ্যালয়ে হিরোজ ফর অল এবং আই সোশ্যাল আয়োজিত উইমেন্স ক্যারিয়ার কার্নিভ্যালে অধিকার কর্মী হো চি মিন ইসলামকে বক্তা হিসেবে বাংলাদেশের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সদস্যদের ন্যায্যতার ভিত্তিতে কিভাবে কর্মসংস্থানে অর্ন্তভুক্ত করা যায় এবং কিরকম পরিবেশ সৃষ্টি করলে তাদের কাজের জন্য অর্ন্তভূক্তিমূলক পরিবেশ নিশ্চিত হয় সেই বিষয়ে বক্তব্য দেয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়। কিন্তু বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একাংশ হো চি মিন ইসলামের উপস্থিতি প্রতিহত করার জন্য আন্দোলন শুরু করে এবং পরীক্ষা বর্জনের হুমকি দেয়। আন্দোলনের এক পর্যায়ে অয়োজক সংস্থার পক্ষ থেকে তাঁর নিরাপত্তার অজুহাতে বক্তার নামের তালিকা থেকে তাঁকে বক্তা হিসেবে বাদ দেয়া হয় যার মাধ্যমে তাঁর গণতান্ত্রিক অধিকার লংঘন করা হয়েছে।
জাতিসংঘের এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বাংলাদেশ অঙ্গীকারবদ্ধ, যেখানে বলা হচ্ছে কেউ পিছিয়ে থাকবেনা সেখানে হো চি মিনের বিশ্ববিদ্যালয়ের উক্ত কার্নিভ্যালে বক্তব্য রাখার বিরুদ্ধে বিশ^বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের আন্দোলন অগ্রহণযোগ্য এবং মানবাধিকারের পরিপন্থী। শিক্ষার্থীদের এ ধরনের আচরণ অনভিপ্রেত যার দায় বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষও এড়াতে পারেনা।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ মনে করে, কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ধমর্, বর্ণ, লিঙ্গ পরিচয়ে সকলের সমান অধিকার নিশ্চিত করবে। শিক্ষার্থীদের এধরণের মানস গঠনেও বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর ভূমিকা রাখা প্রয়োজন। বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ এই ঘটনার তীব্র প্রতিবাদ ও নিন্দা জানাচ্ছে।
বাংলাদেশ মহিলা পরিষদ সকল ধর্ম, বর্ণ, গোষ্ঠীর মানুষের সহবস্থান নিশ্চিত করাসহ প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর সুরক্ষা ও মানবাধিকার নিশ্চিত করার জন্য সকলের প্রতি আহব্বান জানাচ্ছে।