তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত মুজিব ক্লাইমেট প্লান অনুযায়ী ২০৪১ সালের মধ্যে দেশের ৪০ শতাংশ শক্তি সবুজ উৎস থেকে আসবে। সবুজ উৎসের অন্যতম প্রধান দুটি হচ্ছে সৌর ও পারমাণবিক শক্তি। দেশে সোলার বা সৌরশক্তি প্রসার লাভ করছে এবং আমরা নিউক্লিয়ার বা পারমাণবিক ক্লাবে যোগ দিয়েছি।
সোমবার দুপুরে সচিবালয়ে নিজ মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে বাংলাদেশ ক্লাইমেট চেঞ্জ জার্নালিস্টস ফোরামের (বিসিজেএফ) সঙ্গে আরব আমিরাতের দুবাইয়ের অনুষ্ঠিতব্য বিশ্ব জলবায়ু সম্মেলন কপ-২৮ এ দেশের অবস্থান প্রসঙ্গে আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
বিশ্বব্যাপী জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় পশ্চাৎপদতার কথা উল্লেখ করে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, প্যারিস চুক্তির বৈশ্বিক ঐক্যমত মোতাবেক আমরা বিশ্বের তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রির মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখতে পারছি না। একই সাথে প্রতিবছর সমুদ্রপৃষ্ঠের উচ্চতা গড়ে ৩ থেকে ৪ মিলিমিটার সমুদ্র বৃদ্ধি পায়, আমাদের এই অংশসহ কোনো কোনো অংশে অনেক বেশি বৃদ্ধি পায়। গত ৩০ বছরের এই প্রেক্ষাপটে আমরা দেখছি যে, যেখানে বন্যা হতো না সেখানে বন্যা হচ্ছে। পাকিস্তানে বন্যার ভয়াবহতা কখনো ছিলো না সেখানেও হচ্ছে। বরফ অঞ্চল সাইবেরিয়ায় বুশ-ফায়ার হচ্ছে। এই পরিবর্তন প্রশমিত করতে বিশ্বব্যাপী ব্যাপক কর্মযজ্ঞের বিকল্প নেই।
তিনি বলেন, মনুষ্যসৃষ্ট নানা কারণেই জলবায়ু পরিবর্তন হচ্ছে। এটি প্রশমনের জন্য প্রথমত সরকারি ও বেসরকারি পর্যায়ে এবং জনগণের সচেতনতা প্রয়োজন। এ ক্ষেত্রে সাংবাদিকদের ব্যাপক ভূমিকা রাখার সুযোগ আছে। পৃথিবীর জন্য দুঃখজনক হচ্ছে বিভিন্ন দেশের রাজনীতি অস্ত্রবাজদের খপ্পরে পড়েছে। ফলে বৈশ্বিক ক্লাইমেট ট্রাস্ট ফান্ডে কোনো অর্থ জমা পড়ছে না। কিন্তু যুদ্ধ করার জন্য দেখা যাচ্ছে অর্থের কোনো অভাব হচ্ছে না। পৃথিবীকে বাঁচাতে এ অবস্থার পরিবর্তন একান্ত প্রয়োজন।
এ সময় ক্লাইমেট জার্নালিস্টস ফোরামকে ধন্যবাদ জানিয়ে পরিবেশবিদ তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান বলেন, এই ফোরাম পরিবেশ বিষয়ে মানুষকে এবং বিদেশিদেরকে জলবায়ু পরিবর্তনের ফলে আমরা কি পরিমাণ ঝুঁকিতে আছি সেটি অবহিত করার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে চলেছে।
বিসিজেএফ সভাপতি কাওসার রহমান, সাধারণ সম্পাদক মোতাহার হোসেন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাসউদুল হক, সদস্যদের মধ্যে রিমন মাহফুজ, উম্মুল ওয়ারা সুইটি, আলমগীর স্বপন প্রমুখ আলোচনায় অংশ নেন। বিসিজেএফ সদস্য রফিকুল ইসলাম রতন সভায় কপ-২৮ উপলক্ষে পরিবেশবিদ মির্জা শওকত আলীর প্রবন্ধ সভায় উপস্থাপন করেন।