উপজেলা পরিচালন ও উন্নয়ন প্রকল্প (ইউজিডিপি) এর আওতায় উপজেলা পরিষদ এর বাস্তবায়নে রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নের মূল সড়ক এবং গ্রামীণ রাস্তা গত ২ বছরে সোলার বাতির আলোয় আলোকিত হয়েছে।
জানা যায়, কাপ্তাই উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নে মোট ১ শত ১১ টি সোলার লাইট বিভিন্ন অন্ধকারচ্ছন্ন রাস্তার বিভিন্ন পয়েন্ট স্থাপন করা হয়েছে। ফলে সন্ধ্যার পর সোলার বাতির আলোয় আলোকিত হচ্ছে গ্রামীণ জনপদ। কাপ্তাই উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামের বিভিন্ন পয়েন্টে, রাস্তার মোড়, ছোট-বড় বাজার গুলোতে এখন সৌর বিদ্যুতের সোলার লাইট বসানো হয়েছে। এ আলোর কারণে গ্রামীণ জনপদে এসেছে নিরাপত্তা।
অন্য দিকে, সোলার লাইট সরকারের ডিজিটাল দেশ গড়ার লক্ষ্যকে আরো এক ধাপ এগিয়ে নিয়ে গেছে। গত ২ অর্থবছর এবং চলতি অর্থ বছরে সোলার লাইট বসানোর জন্য আলাদা বাজেটের কারণে দ্রুতগতিতে বদলে গেছে গ্রামীণ অবকাঠামো। রাতে বোঝার কোনো উপায় নেই, কোনটি শহর আর কোনটি গ্রাম। সরকারের ইতিবাচক এ উদ্যোগ তাই সবার কাছেই প্রশংসনীয় হয়েছে।
উপজেলার ৩ নং চিৎমরম ইউনিয়ন এর চিৎমরম বাজার জামে মসজিদের ইমাম মো: রফিক উল্লাহ বলেন, আমাদের মসজিদের সামনে মূল সড়কে সোলার লাইট স্থাপন করা হয়েছে। যার ফলে মুসুল্লি এবং বাজারে চলাচলকারী জনগণের খুবই উপকার হয়েছে।
২ নং রাইখালী ইউনিয়ন এর জগনাছড়ি পাড়ার বাসিন্দা ক্যথুইঅং মারমা বলেন, আমাদের পাড়ার দোকানে সামনে গত বছর সোলার লাইট স্থাপন করা হয়েছিল। যার ফলে সন্ধ্যার পর এলাকার লোকজন অতি সহজে এই পথ ধরে চলাচল করতে পারে।
১ নং চন্দ্রঘোনা ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আক্তার হোসেন মিলন বলেন, আমার ইউনিয়নের বিভিন্ন ওয়ার্ড এবং সড়কে ৩৩ টি সোলার বাতি লাগানো হয়েছে। এই প্রকল্পটি অত্যন্ত প্রশংসনীয় প্রকল্প। প্রকল্পের আওতায় গ্রামীণ জনপদ আলোকিত হচ্ছে। প্রকল্প সংশ্লিষ্ট সকলকে আমি ধন্যবাদ জানাই এবং আশা করছি প্রকল্পটি চলমান থাকবে।
কাপ্তাই উপজেলা পরিচালন ও উন্নয়ন প্রকল্পের দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ঝিমি চাকমা বলেন, গত ২ বছরে কাপ্তাই উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে স্থাপিত সড়ক বাতি গুলোর সুবিধা পাওয়ার পর এইগুলোর চাহিদা এত বেড়ে গেছে যে, প্রকল্প বরাদ্দ কম থাকায় আমরা সকলের চাহিদা পূরণ করতে পারছি না। চলতি অর্থ বছরে এই প্রকল্পের মেয়াদ শেষ হয়ে যাচ্ছে। যদি প্রকল্পটি থাকতো তাহলে কাপ্তাই উপজেলার সকল গ্রামীণ সড়ক প্রকল্পের আওতায় এনে আলোকিত করা যেতো।
কাপ্তাই উপজেলা প্রকৌশলী মো: মনিরুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, গত ২ অর্থবছরে কাপ্তাই উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নে মোট ১ শত ১১ টি সোলার লাইট বিভিন্ন অন্ধকারচ্ছন্ন রাস্তার বিভিন্ন পয়েন্ট স্থাপন করা হয়েছে। চলতি অর্থ বছরে আরোও ৯৫ টি সোলার লাইট স্থাপন করা হবে। এই সোলার লাইট স্থাপনের ফলে পাহাড়ের পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর অর্থনীতিতে বিপুল পরিবর্তন আসবে বলে আমি মনে করি।
কাপ্তাই উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মফিজুল হক বলেন, প্রকল্পের আওতায় কাপ্তাই উপজেলার বিভিন্ন গ্রামীণ সড়ক অন্ধকার হতে আলোকিত হয়েছে। উপজেলা পরিচালন ও উন্নয়ন প্রকল্প কর্তৃপক্ষকে ধন্যবাদ জানাই এই ধরনের প্রকল্প বাস্তবায়নে সহায়তা প্রদানের জন্য। আশা করছি প্রকল্পটি চলমান থাকবে।