রাঙামাটির কাপ্তাই উপজেলায় চলমান টানা বর্ষণে পাহাড় ধসের শঙ্কা দেখা দিয়েছে। এ অবস্থায় পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরতদের আশ্রয় কেন্দ্রে চলে যাওয়ার জন্য প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করা হচ্ছে। এছাড়া তাদের আশ্রয় কেন্দ্রে দ্রুত চলে আসতে নির্দেশ দিয়েছে কাপ্তাই উপজেলা প্রশাসন।
আজ ১৮ জুন (শনিবার) বিকেলে কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান উপজেলার ৪ নং কাপ্তাই ইউনিয়ন এর ঢাকাইয়া কলোনি এলাকায় বাড়ি বাড়ি গিয়ে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরতদের নিকটস্থ আশ্রয় কেন্দ্রে যাবার অনুরোধ জানান।
এ সময় কাপ্তাই থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জসিম উদ্দিন, উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা রুহুল আমিন, ৪ নং কাপ্তাই ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান প্রকৌশলী আবদুল লতিফ সহ ফায়ার সার্ভিস পুলিশ সদস্য ও উপজেলা স্কাউটস এর সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
কাপ্তাই উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মুনতাসির জাহান বলেন, পাহাড়ের পাদদেশে ঝুঁকিপূর্ণভাবে বসবাসরতদের নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নিতে প্রচারনা ও মাইকিং করা হয়েছে। বিকালের মধ্যে না এলে প্রয়োজনে তাদেরকে জোর করে আশ্রয় কেন্দ্রে আনা হবে। তাদের জন্য ৫টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত করা হয়েছে। সেগুলো হলো কাপ্তাই উচ্চ বিদ্যালয়, ওয়াগ্গা মুরালিপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, ওয়াগ্গা উচ্চ বিদ্যালয়, চিৎমরম ইউপি কার্যালয়, রাইখালি কারিগরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,নারায়নগিরি সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় এবং চন্দ্রঘোনা ইউপি কার্যালয়।
এদিকে কাপ্তাই বিভিন্ন ঝুঁকিপূর্ণ এলাবাসীর সাথে কথা বলে জানা যায়, আশ্রয় কেন্দ্রে যাওয়ার তেমন ইচ্ছা নেই। অনেকে বলেন, এখন যাওয়ার প্রয়োজন নেই তবে, বেশি বৃষ্টি হলে আশ্রয় কেন্দ্র যাব।
কাপ্তাই উপজেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে, ঝুঁকি নিয়ে পাহাড়ে বসবাস করছে প্রায় শত শত পরিবারের মানুষ। গতকাল ১৭ জুন (শুক্রবার) থেকে টানা বর্ষণ চলছে। শনিবারও সারাদিন থেমে থেমে বৃষ্টি হচ্ছে। এছাড়া রাঙামাটি আবহাওয়া অফিসের তথ্যমতে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাঙামাটিতে ৯৭ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, রাঙামাটি জেলার কাপ্তাইয়ে ২০১৭ সালে পাহাড় ধসে ১৮ জনের মৃত্যু হয়।