পার্বত্য জেলা রাঙামাটিতে শনিবার সকাল থেকেই ভারী বর্ষণের পাশাপাশি বজ্রপাতের তীব্রতায় আতঙ্কগ্রস্থ করে তুলেছে স্থানীয় বাসিন্দাদের।
শনিবার দুপুরে বজ্রপাতের আঘাতে বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকে অগ্নিকান্ডে বসতঘর সম্পূর্ন পুড়ে গেছে। সম্ভাবনা রয়েছে পাহাড় ধসের। এমাবস্থায় দিনব্যাপী অব্যাহত বর্ষণের ফলে পাহাড়ের ধসের মতো দূর্ঘটনা থেকে নাগরিকদের রক্ষায় রাঙামাটি শহরের পাহাড়ের পাদদেশে বসবাসরত বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে সরিয়ে নিতে কাজ শুরু করেছে কোতয়ালী থানা পুলিশ।
শনিবার দুপুর থেকে রাঙামাটি শহরের ভেদভেদী, শিমুলতলী, রূপনগর এলাকাগুলোতে গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের জেলা প্রশাসন কর্তৃক নির্ধারিত আশ্রয়কেন্দ্রে চলে যাওয়ার জন্য মাইকিংয়ের পাশাপাশি এলাকাবাসীদের সাথে কথা বলেছেন কোতয়ালী থানার ওসি মোঃ আরিফুল আমিনসহ প্রশাসনের উদ্বর্তন কর্তৃপক্ষ। এসময় পুলিশ সদস্যরা বাড়ি বাড়ি গিয়ে স্থানীয় বাসিন্দাদের বুঝিয়ে ভারী বর্ষণের সময় নিরাপদ স্থানে আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে অবস্থান নেওয়ার অনুরোধ জানাতে দেখাগেছে।
কোতয়ালী থানার অফিসার ইনচার্জ আরিফুল আমিন জানিয়েছেন, আবহাওয়া অধিদপ্তরের পূর্বাবাশের পাশাপাশি শনিবার সকাল থেকেই রাঙামাটিতে ভারীবর্ষণ শুরু হয়েছে এবং আরো ভারীবর্ষণের সম্ভাবনা রয়েছে। এতে করে অত্রাঞ্চলে পাহাড় ধসের সমূহ সম্ভাবনা থাকার কারনে আমরা স্থানীয়ভাবে ঝূকিপূর্নভাবে বসবাসরত বাসিন্দাদের দূর্ঘটনা থেকে রক্ষায় সতর্ক করার পাশাপাশি তাদের জীবন রক্ষায় বাংলাদেশ বেতারের অভ্যন্তরে জেলা প্রশাসনের মাধ্যমে আশ্রয় কেন্দ্র তৈরি করা হয়েছে।
ভারী বর্ষণের সময় উক্ত আশ্রয় কেন্দ্রে যাতে করে মানুষজন সেখানে চলে যায় সেলক্ষ্যে আমরা সচেতনামূলক প্রচারনা চালিয়ে যাচ্ছি। যাতে করে সম্ভাব্য ক্ষয়ক্ষতি থেকে নাগরিকদের কিছুটা হলেও রক্ষা করা যায়।