দেশে যেমন নারী নেতৃত্বের মাধ্যমে বিপ্লব ঘটছে,এছাড়া দেশে নারিদের সমানভাবে পুরুষের পাশাপাশি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে।দেশের নারী প্রধানমন্ত্রী,নারী স্পিকার,অনেককিছু এখন নারী। আমাদের সমাজে এখনো নারী কুসংস্কার প্রথা চালু রয়েছে। এগুলো থেকে বেরিয়ে আসতে হবে।বিশেষকরে পার্বত্য এলাকায় এ প্রথা এখনো চালু রয়েছে। এখনো পাহাড়ের মেয়েদের বাড়ির বাহিরে কর্মের জন্য যেতে দেওয়া হচ্ছে নারীদের শিক্ষা থেকে বঞ্চিত করা হচ্ছে।তাদের কে আরো বেশি করে লেখাপড়ার পাশাপাশি কম্পিউটার জ্ঞান,ব্যবহারিক শিক্ষা গ্রহন করতে হবে।পিতা মাতার সংসারের পাশাপাশি ব্যবহারিক শিক্ষা গ্রহন করতে হবে,।সাম্প্রতিক আমাদের নারী ফুটবল খেলোয়ারা সাফ জয় করে দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছে।নারীরা এখন পিছিয়ে নেই।চাই সাহস,আর মনোবল।
এমনটাই বলছিলেন নানিয়ারচর উপজেলার বুড়িঘাট নিচে পুলিপাড়া গ্রামের মেয়ে চোসাউ রোয়াজা,পূর্নিমা ও রুপনার মত দেশ ও পাহাড়ের মহিলাফুটবলের প্রতিনিধিত্ব করতে চান তিনি। অভাবের সংসারে কষ্টের মধ্যে পিতা ও মাতার স্বপ্ন পূরন করতে চান চোসাউ রোয়াজা।ফুটবলে উপহার অর্জন কমতি নেই তার। সাম্প্রতিক তাকে ঘরোয়া লীগে দেখা যাচ্ছে। বিভিন্ন ক্লাবের হয়ে খেলে যাচ্ছেন। ভবিষ্যতে জাতীয় দলের হয়ে খেলতে পারেন এমনটাই আশা।
পূর্নিমা ও রুপনার মত ভবিষ্যতে ভাল কিছু তার কাছে থেকে পাওয়া সম্ভব মনে করছেন অনেকেই ।তবে পিতার অভাবের সংসারে লেখাপড়ার পাশাপাশি বিকেএসপির খরচ যোগাড় করতে হিমশিম খেতে হচ্ছে তার ।ভাঙ্গাঘরে কষ্টের প্রতিকূলে পরিবেশে মূখ ফিরে সাহায্যের হাত দিয়ে বাড়ায়নি কেউ,অন্যদিকে সমতলের চেয়ে পাহাড়ের জীবন জিবিকা অনেকটা ভিন্ন। চোসাউ বলেন,চেষ্টা করছি ভাল কিছু দেশকে উপহার দিব।বাকিটা সৃষ্টিকর্তা জানে।
এদিকে চোসাউ রোয়াজাকে নিয়ে নানিয়ারচর উপজেলা ক্রীড়া সংস্থা সাধারণ সম্পাদক রিপন দাশ জানান,কয়েকদিন আগে জাতীয় দৈনিক যায়যায়দিনের অনলাইনে চোসাউ রোয়াজা এর একটি প্রতিবেদন প্রকাশ হয়েছে। শুনেছি মেয়েটা অনেক ভালো খেলছে, আমারা চোসাউ এর বাড়িতে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি,সর্বপরি তাকে সহায়তা করা হবে।