নজিরবিহীন পিকেটিংয়ের মধ্যদিয়ে রাঙামাটিতে ইউপিডিএফ এর ডাকে আধাবেলা অবরোধ কর্মসূচী পালিত হয়েছে। জেলার লংগদু উপজেলায় ইউপিডিএফের এক সদস্য ও এক সমর্থককে গুলি করে হত্যার প্রতিবাদে এবং খুনিদের গ্রেফতার ও শাস্তির দাবিতে পার্বত্য চুক্তি বিরোধী সংগঠন ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ইউপিডিএফ জেলায় এই অর্ধদিবস সড়ক ও নৌপথ অবরোধ কর্মসূচির ডাক দেয়।
সোমবার সকাল থেকে অবরোধের সমর্থনে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম সড়কের সাপছড়িতে শতাধিক নেতাকর্মী পিকেটিং শুরু করে। নজিরবিহীন পিকেটিংয়ে একটি মোটর সাইকেল পর্যন্ত চলাচল করতে দেয়নি অবরোধকারিরা। রাজপথে অবস্থান করে শ্লোগানে শ্লোগানে মুখোর ছিলো অবরোধকারিরা। এছাড়াও রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি রুটের কুতুকছড়ি, সাপছড়িতে পিকেটাররা অবস্থান নিয়ে সড়কে মিছিল করে বেলা সাড়ে বারোটা পর্যন্ত রাজপথে অবস্থান নিয়ে সকল প্রকার যাত্রীবাহি ও মালবাহি গাড়িগুলো আটকে রাখে।
অবরোধে রাঙামাটির সঙ্গে দূরপাল্লার বাস-ট্রাক, অটোরিক্সা, মালবাহি গাড়ি চলাচল সম্পূর্ন বন্ধ ছিলো। সকালে ঢাকা-চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে আসা যাত্রী ও পণ্যবাহী যানবাহনগুলো আটকা পড়ে রাঙামাটি-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সাপছড়ি খামারপাড়া এলাকায়। অবরোধের কারনে সৃষ্ট যানজটে আটকা পড়া মানুষের দূর্ভোগ ছিলো চোখে পড়ার মতো।
এছাড়া রাঙামাটি-খাগড়াছড়ি জেলা আঞ্চলিক মহাসড়কে কতুকছড়ি, বগাছড়ি, ঘিলাছড়ি, আবাসিক এলাকা, সাজেক পর্যটন রোডের বিভিন্ন এলাকায় গাছের গুঁড়ি ও টায়ার জ্বালিয়ে বিক্ষোভ করেন পিকেটাররা।
এরআগে রোববার এক বিবৃতিতে ইউপিডিএফ অবিলম্বে লংগদুতে ইউপিডিএফ সদস্যসহ দুজনকে হত্যার সঙ্গে জড়িতদের গ্রেপ্তার ও দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি এবং পার্বত্য চট্টগ্রামে খুনের রাজনীতি বন্ধে সন্তু লারমাকে আঞ্চলিক পরিষদ থেকে অপসারণপূর্বক বিচারের আওতায় আনার দাবি জানায়।
উল্লেখ্য, গত শনিবার সকাল সাড়ে ৮টার সময় লংগদুর বড় হাড়িকাবা এলাকায় সাংগঠনিক কাজে নিয়োজিত ইউপিডিএফের কর্মীদের ওপর সশস্ত্র হামলা চালানো হয়। এতে এলোপাতাড়ি ব্রাশফায়ারে ইউপিডিএফ সদস্য বিদ্যাধন চাকমা (৪৫) ও সমর্থক ধন্য মনি চাকমা (৩৫) ঘটনাস্থলে নিহত হন। ইউপিডিএফ নেতৃবৃন্দ বলেন, পাহাড়ের ইউপিডিএফ’র রাজনৈতিক এজেন্ডাকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে সন্তু লারমার নেতৃত্বাধীন জেএসএসের সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা এই হত্যাকান্ড ঘটিয়েছে।