দুর্গম পাহাড়। রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলা থেকে ফারুয়া ইউনিয়ন হয়ে পায়ে হেঁটে বড়থলি ইউনিয়নে যেতে কমপক্ষে লাগে চারদিন। আবার বান্দরবান জেলার রুমা উপজেলার বগালেক দিয়ে পায়ে হেঁটে যেতে লাগে দুদিন। তাই ১০ আগস্ট গণটিকার প্রথম ডোজ হেলিকপ্টারে নিয়ে যান সংশ্লিষ্টরা। এবার দ্বিতীয় ডোজও নিয়ে যাওয়া হলো হেলিকপ্টারে। আর তা টিকা নিয়ে গেছেন রাঙামাটির বিলাইছড়ি উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. মিজানুর রহমান ও উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. রশ্মি চাকমা। তাদের সঙ্গে তিন স্বাস্থ্যকর্মীও রয়েছেন।
মঙ্গলবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল পৌনে ১০টার দিকে কাপ্তাই পানি বিদ্যুৎ এলাকার হেলিপ্যাড থেকে বিমানবাহিনীর একটি হেলিকপ্টারে টিকার দ্বিতীয় ডোজ নিয়ে তারা রওনা হয়েছেন।
এর আগে ইউএনও মিজানুর রহমান সাংবাদিকদের বলেন, ‘১০ আগস্ট আমরা দুর্গম বড়থলি ইউনিয়নে গণটিকাদান কার্যক্রম পরিচালনা করি। তারই ধারাবাহিকতায় আজ আমরা ওই এলাকায় গণটিকার দ্বিতীয় ডোজ দিতে যাচ্ছি। গণটিকার প্রথম ডোজ গ্রহণে ওই এলাকার জনগণের যে উচ্ছ্বাস আমরা দেখেছি, তা আমাদেরকে আরও বেশি অনুপ্রাণিত করেছে।’
বিলাইছড়ি উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডা. রশ্মি চাকমা বলেন, ‘১০ আগস্ট আমরা ওই এলাকায় ২৯২ জনকে সিনোফার্মার প্রথম ডোজ দিয়েছিলাম। একই সঙ্গে ওইদিন স্বাস্থ্য বিভাগ থেকে চিকিৎসা সেবা ও ইপিআই কার্যক্রম পরিচালনা করেছি। আজ তাদেরকে দ্বিতীয় ডোজ দেওয়া হবে। এছাড়া সরকারের স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অধীনে ট্রাইবেল হেলথ কর্মসূচির আওতায় মোবাইল মেডিকেল ক্যাম্পের মাধ্যমে স্বাস্থ্য সেবা দেওয়া হবে।’