রাঙামাটি ২৯৯ আসনের আওয়ামী লীগের মনোনিত প্রার্থী দীপংকর তালুকদার বলেন, ১৯৯১ সাল থেকে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর হতে অদ্যাবধি রাঙ্গামাটি পার্বত্য জেলার জাতি, ধর্ম, বর্ণ নির্বিশেষে সকল সম্প্রদায়ের শান্তি, সম্প্রীতি উন্নয়নের লক্ষ্যে আন্তরিক ভাবে কাজ করে গেছি। বিগত ১৫ বছর যাবৎ বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের শাসনামলে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সারাদেশের মত পাহাড়েও অভূতপূর্ব উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে নৌকাকে বিজয়ী করার আহবান জানান তিনি।
আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে রাঙামাটি ২৯৯নং আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী দীপংকর তালুকদারের নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
আজ বৃহস্পতিবার (২১ ডিসেম্বর) সকাল ১০টায় জেলা আওয়ামী লীগের উদ্যোগে দলীয় কার্যালয়ে এই সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সংবাদ সম্মেলনে ২১ দফা নির্বাচনী ইশতেহারসহ সার্বিক বিষয় নিয়ে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দীপংকর তালুকদার বলেন, উন্নয়নের ধারাবাহিকতায় রাঙ্গামাটি জেলাতে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা, মেডিকেল কলেজ প্রতিষ্ঠাসহ শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি, বিদ্যুৎ, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও যোগাযোগ সহ নানাখাতে দৃশ্যমান উন্নয়ন সাধিত হয়েছে। তাই আগামী ৭ জানুয়ারি ২০২৪ তারিখে জনসমর্থন এবং জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে পূনরায় নির্বাচিত হলে তাঁর লক্ষ্য অভিষ্ট রেখে এই জেলাকে সন্ত্রাসমুক্ত, শান্তি, সম্প্রীতি, উন্নত সমৃদ্ধ এবং স্মার্ট রাঙামাটি বিনির্মানে তাঁর চলমান আন্তরিক প্রচেষ্টা অব্যাহত থাকবে।
এসময় রাঙামাটি জেলা আওয়ামী লীগ সহ-সভাপতি ও নির্বাচন পরিচালনা কমিটির চেয়ারম্যান অংসুই প্রু চৌধুরী, কো-চেয়ারম্যান ও সাবেক মেয়র মো: হাবিবুর রহমান, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের কার্যকরি কমিটির সদস্য অভয় প্রকাশ চাকমা, জেলা আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক হাজী মো: মুছা মাতব্বর, দপ্তর সম্পাদক রফিক তালুকদার, উপ-দপ্তর সম্পাদক শহিদুজ্জামান মহসিন রোমান, দৈনিক গিরিদর্পণ সম্পাদক প্রবীণ সাংবাদিক একেএম মকছুদ আহমদ, রাঙামাটি প্রেস ক্লাব সভাপতি মো: সাখাওয়াৎ হোসেন রুবেল, সাধারণ সম্পাদক আনোয়ার আল হকসহ বিভিন্ন প্রিন্ট ও বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রিক মিডিয়ার সাংবাদিকবৃন্দরা উপস্থিত ছিলেন।
সংবাদ সম্মেলনে সর্বশেষ দীপংকর তালুকদার পার্বত্য শান্তি চুক্তির বাস্তবায়ন, অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার, রেলপথ ও বিমানবন্দর, জেলায় চার লেনের রাস্তা, বিশ্বমানের পরিবেশ বান্ধব ইকো ট্যুরিজম অঞ্চল গঠন, সকল সম্প্রদায়ের মধ্যে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি রক্ষায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহন, ঠেগামুখ স্থল বন্দর স্থাপন করে ইমিগ্রেশন পয়েন্ট চালুর উদ্যোগ, কর্ণফুলী হ্রদ ব্যবস্থাপনাসহ ২১টি নির্বাচনী ইশতেহার ঘোষণা করেন এবং আগামী দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে নৌকা মার্কায় ভোট দেয়ার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহবান জানান।