দেশবাসীকে বিদ্যুৎ ব্যবহারে সাশ্রয়ী হওয়ার জন্য আহ্বান জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উপকরণের দাম অত্যাধিক বেড়েছে। অনেক দেশেই এখন বিদ্যুতের জন্য হাহাকার তৈরি হয়েছে। তাই সকলকে বিদ্যুৎ অপচয়রোধ করতে হবে।
আজ ৫ জুলাই (মঙ্গলবার) ঢাকা সেনানিবাসে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) ৪৭তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে এ অনুষ্ঠানে যুক্ত হয়ে বলেন, বর্তমানে আন্তর্জাতিক বাজারে বিদ্যুৎ উৎপাদনের উপকরণগুলোর দাম অত্যাধিক বেড়েছে। অনেক দেশেই এখন বিদ্যুতের জন্য হাহাকার তৈরি হয়েছে। অনেক উন্নত দেশেও কিন্তু দুর্ভিক্ষ শুরু হয়ে গেছে।বিদ্যুৎ উপাদানের সব কিছুর দাম এখন ঊর্ধ্বমুখী। তাই সকলকে বিদ্যুৎ অপচয়রোধ করতে হবে।
ইউক্রেন আর রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে পরিবহনের সমস্যার সৃষ্টি হচ্ছে। আগের মত জাহাজ চলাচল করতে পারছে না। শুধু আমাদের দেশে না, প্রত্যেকটা দেশেই এখন জিনিসের ঘাটতি। এই সমস্যাটা দেখা দিয়েছে। সেখানে আমরা যদি একটু সাশ্রয় করে চলি, মিতব্যয়ী হই এবং নিজেরা নিজেদের সঞ্চয়টা বাড়াতে পারি তাতে যেকোনও সমস্যা মোকাবিলা করা যাবে। অর্থাৎ প্রতিটি পরিবারই যেন সঞ্চয়মুখী হয়, যে আমরা নিজেরা কিছু করবো।
তিনি বলেন, অনেক উন্নত দেশে কিন্তু দুর্ভিক্ষ শুরু হয়ে গেছে। আমাদের দেশেকে যাতে সে পরিস্থিতিতে পড়তে না হয়, এ জন্য এক ইঞ্চি জমিও যেন অনাবাদি না থাকে। কোনও জলাধার যেন খালি না থাকে। যার যেখানে যতটুকু জায়গা আছে, প্রতিষ্ঠানভিত্তিকও যেখানে যতটুকু খালি জায়গা, যে যা পারবেন কিছু উৎপাদন করবেন। উৎপাদন করে অন্তত নিজেদের খাদ্যটা নিজেরা জোগাড় করার চেষ্টা করা, যাতে বাজারের ওপর চাপ না পড়ে। উদ্বৃত্তটা বিক্রি করে যাতে লাভবান হতে পারেন, সেই ব্যবস্থাটা সবাইকে নিতে হবে।
করোনা সংক্রমণ প্রশ্নে শেখ হাসিনা বলেন, এখন আবার একটু পাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এক্ষেত্রে সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। সেইসাথে আমরা টিকা দিচ্ছি। টিকা দেওয়ার সাথে সাথে বুস্টার ডোজটাও নিতে হবে। অনেকেই বুস্টার ডোজ নিচ্ছে না। সাধারণ জনগণ একটু পিছিয়ে থাকে। সেই ব্যাপারেও আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব, যাতে প্রত্যেকে বুস্টার ডোজটা নেয়। যাতে পাদুর্ভাব আর বাড়তে না পারে।