২৪ মে শনিবার। দিনটি ছিল হামজা চৌধুরীর পরিবারের কাছে একটু ব্যতিক্রম। সেদিন হামজার মা–বাবা ও তাঁদের নিকটাত্মীয়রা লন্ডনের ওয়েম্বলি স্টেডিয়ামে যান শেফিল্ড ইউনাইটেড ও সান্ডারল্যান্ডের চ্যাম্পিয়নশিপ প্লে–অফ ফাইনাল দেখতে।
কিন্তু সেই ম্যাচে হামজার দল শেফিল্ড ২–১ গোলে হারার পর মন খারাপ করে বাসায় ফিরেছিলেন সবাই। ম্যাচটার দিকে চোখ ছিল বাংলাদেশের বহু ফুটবলপ্রেমীরও। কারণ, শেফিল্ড জিতলে আবার ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগে খেলতে পারতেন হামজা। শেষ পর্যন্ত তেমনটা আর হয়নি।
গতকাল ইংল্যান্ড থেকে সেই বিশেষ দিনের বিশেষ ম্যাচটি নিয়ে হামজার বাবা মোরশেদ দেওয়ান চৌধুরী প্রথম আলোকে বলেন, ‘আমরা ২০ থেকে ২৫ জন সেদিন মাঠে গিয়েছিলাম। হামজার কাছের আত্মীয়রাও ম্যাচ দেখতে ওয়েম্বলিতে হাজির হয়। আসলে ফুটবল তো ১১ জনের খেলা। ও ম্যাচটা জেতার চেষ্টা করেছে; কিন্তু পারেনি। এ জন্য আমাদেরও মন খারাপ ছিল।’
বাবা ও মায়ের সঙ্গে হামজা চৌধুরীছবি: ইনস্টাগ্রাম
এদিকে গতকাল হামজা–শমিত ছাড়া বাংলাদেশ জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দিয়েছেন ভুটান ও সিঙ্গাপুর ম্যাচের প্রাথমিক স্কোয়াডে থাকা ২৪ ফুটবলার। হামজার দেশে আসার কথা আগামী ১ বা ২ জুন। এরপর তিনি জাতীয় দলের ক্যাম্পে যোগ দেবেন।
যদিও মোরশেদ দেওয়ান জানিয়েছেন, এখনো হামজার বাংলাদেশে আসার টিকিট নিশ্চিত হয়নি, ‘আমরা চেষ্টা করছি টিকিট কনফার্ম করার। বাফুফে থেকে অনেক সহযোগিতা করছে। আসলে এমন এক সময় ম্যাচ পড়েছে, যখন কোরবানির ঈদ। এ সময়ে অনেক বাংলাদেশিই দেশে যান ঈদ করতে। আমাদের আশা আছে ২ থেকে ৩ তারিখের মধ্যে আসার। এখনো কিছু কনফার্ম হয়নি। দেখা যাক কী হয়।’
শিগগিরই বাংলাদেশে আসবেন হামজা চৌধুরীছবি: বাফুফে
গত জানুয়ারিতে লেস্টার সিটি থেকে ধারে শেফিল্ডে যোগ দিয়েছিলেন হামজা। আজ তাঁর ধারের মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা। তেমনটা হলে আবার লেস্টারে ফিরতে পারেন এই মিডফিল্ডার।
যদিও হামজার বাবা বলছেন ভিন্ন কথা, ‘না এখনো সেটা (শেফিল্ডে থাকবেন নাকি লেস্টারে ফিরে যাবেন) ঠিক হয়নি। আমি নিজেও ওর কাছে জানতে চেয়েছি। সে বলল, “জানি না।” তাই বলতে পারছি না, সে শেফিল্ডে থাকবে নাকি লেস্টারে ফিরবে।’
শেফিল্ডের সঙ্গে হামজার ধারের মেয়াদ আজ শেষ হচ্ছেছবি: ইনস্টাগ্রাম
গত ২৫ মার্চ ভারতের বিপক্ষে এশিয়ান কাপ বাছাইয়ের ম্যাচ দিয়ে বাংলাদেশের জার্সিতে অভিষেক হয় হামজার। সেই ম্যাচে দল না জিতলেও নিজেকে নিংড়ে দিয়েছিলেন এই তারকা মিডফিল্ডার।