দলের সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে অংশ নেয়ায় বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন ও উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি হামিদা চৌধুরীকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয়া হয়েছে।
জানা যায়, গত বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) রাতে সাড়ে ১১টায় সূত্র নং বিএনপি /সাধারণ /৭৭/ ১৫১/ ২০২৪ইং স্মারকে বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি নোটিশ দেন।
৩ মে শুক্রবার সকালে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন উপজেলা বিএনপি সভাপতি মুহাম্মদ আরেফ উল্লাহ ছুট্টু ও সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম বাহাদুর।
তাঁরা জানান, ২ মে বৃহস্পতিবার রাতে বিএনপির সিনিয়র যুগ্মমহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত পৃথক দুটি কারন দর্শানো নোটিশ পৌঁছে আমাদের হাতে। একি ভাবে সেই পৃথক দুইটি নোটিশ যথা সময়ে সেই দুই নেতার ওয়াটসাপে পৌঁছে গেছে বলে ধারনা করছেন তাঁরা।
আর এদিকে কারন দর্শনো নোটিশে জানা যায়, নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক মুহাম্মদ কামাল উদ্দিন ও মহিলা দলের সাবেক সভাপতি হামিদা চৌধুরী ৬ষ্ঠ উপজেলা পরিষদে দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলা পরিষদের পুরুষ ও মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করছেন। দলের নির্দেশ অমান্য করে নির্বাচন করায় আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে তাকে লিখিতভাবে কারণ দর্শাতে বলা হয়।
পৃথক দুটি কারণ দর্শানোর নোটিশে আরও বলা হয়, গত ১৫ এপ্রিল বিএনপি জাতীয় স্থায়ী কমিটির সভায় আসন্ন উপজেলা পরিষদ নির্বাচন বর্জন করার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। বিএনপি নেতা হিসেবে আপনি দলীয় সিদ্ধান্ত অমান্য করে উপজেলা নির্বাচনে প্রার্থিতা প্রত্যাহার করেননি। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আপনার এহেন মনোবৃত্তি সম্পূর্ণ রূপে দলীয় শৃঙ্খলা পরিপন্থী এবং দলের প্রতি চরম বিশ্বাসঘাতকতা।
সুতরাং দলের সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করে জালিয়াতির নির্বাচনে অংশগ্রহণের জন্য আপনার বিরুদ্ধে কেন দলের গঠনতন্ত্র মোতাবেক সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না তা হোয়াটসঅ্যাপ বা অন্য কোনো মাধ্যমে পত্র প্রাপ্তির কিংবা ফোনে অবহিত হওয়ার ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে যথাযথ কারণ দেখিয়ে একটি লিখিত জবাব দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বরাবরে নয়াপল্টনস্থ কার্যালয় জমা দেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
উপজেলা বিএনপি সাধারণ সম্পাদক আব্দুল আলীম বাহাদুর জানান, উপজেলা নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত বিএনপির। এর আগেও বর্তমান সরকার ও নির্বাচন কমিশনের অধীনে যে কোন নির্বাচনে অংশ না নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিএনপির হাইকমান্ড।
তিনি আরও জানান, শেখ হাসিনার সরকার ও তাঁর আজ্ঞাবহ নির্বাচন কমিশন, বেসামরিক ও পুলিশ প্রশাসন একটি অবাধ, সুষ্ঠু অংশগ্রহণমূলক ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে পারে না।
উল্লেখ্য,নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার দ্বিতীয় ধাপ ২১ মে নির্বাচনে বিএনপি’র সাবেক সম্পাদক মো. কামাল উদ্দিন স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে ভাইস চেয়ারম্যান পদে চশমা প্রতীকে এবং উপজেলা মহিলা দলের সভাপতি হামিদা চৌধুরী মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান পদে পদ্মফুল প্রতীকে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।