বান্দরবানের পোড়া বাংলা এলাকায় স্থানীয়দের বসতঘর ও বাগান নষ্ট করে প্রকল্প বাস্তবায়নের অভিযোগ উঠেছে বাস্তবায়নকারি ঠিকাদারের বিরুদ্ধে। গত শনিবার (১৮ মে) দুপুরে পোড়া বাংলা এলাকার বাসিন্দারা প্রতিবেদককে এ অভিযোগ জানান।
স্থানীয়রা জানায়, বান্দরবান-থানচি সড়কের পোড়াবাংলা থেকে লাংজা পাড়া পর্যন্ত গ্রামীণ সড়ক নির্মাণ প্রকল্প বাস্থবায়ন করছে গ্লোবাল এন্টারপ্রাইজের পক্ষে ঠিকাদার মেহেদী। তবে এই প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করতে গিয়ে ঠিকাদারের নির্দেশে শ্রমিকরা অপরিকল্পিত ভাবে পাহাড়ের দুই পাশে পাহাড় কাটার মাটি ও পাথর গুলো স্থুপ করে রাখে। এতে পাহাড়টির নিচে বসবাসকারী ম্রো বাসিন্দাদের বসতঘরে মাটি ও পাথর পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এছাড়া পাথর ও মাটির বড় টুকরো বসত বাড়িতে পড়ে হতাহতের শংঙ্কায় দিন কাটাচ্ছে পরিবারের শিশু-বৃদ্ধরা। এনিয়ে ঠিকাদারকে কয়েকবার অভিযোগ করলে উলটো মামলার হুমকি দিচ্ছেন তিনি।
চেংরাও ম্রো জানান, সড়ক নির্মাণে পাহাড় কাটা মাটি ও পাথর গুলো পাহাড়ের ঢালুতে রাখায় সেগুলো গড়িয়ে তার ঘরে মধ্যে পড়ে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে এবং সৌভাগ্যক্রমে ওই সময় ঘরে কেউ না থাকায় হতাহত হয় নি। তবে হতাহতের আশঙ্কায় রাত্রি যাপন করতে হচ্ছে তাদের।
আরেক বাসিন্দা তংসং ম্রো জানান, পাহাড় কাটা মাটি গুলো যত্রতত্র রাখার কারনে এলাকাবাসীর বাগান গুলোতে অনেক ক্ষতি হয়েছে। তবে বাগানের ক্ষতিপূরণ হিসেবে ঠিকাদারের পক্ষ থেকে ক্ষতিপূরণ দেয়ার কথা থাকলেও এখনো পর্যন্ত কাউকে সে টাকা দেয়নি। এনিয়ে কয়েকবার ঠিকাদরকে বলায় ক্ষতিপূরণ না দিয়ে উল্টো মামলার হুমকি দিচ্ছে ঠিকাদারের লোকজন।
কাজটির দায়িত্বে থাকা সহকারী প্রকৌশলী মো. এরশাদ মিয়া জানান, ওই এলাকায় সড়ক নির্মানের জন্য টেন্ডার প্রক্রিয়া সম্পন্ন হয়েছে। তবে ওয়ার্ক অর্ডার পত্র হাতে না পাওয়ায় বিস্তারিত বলা যাচ্ছে না।
ঠিকাদার মেহেদীর কাছ থেকে মুঠোফোনে জানতে চাইলে সামনাসামনি দেখা হলে বিষয়টি সম্পর্কে জানাবেন বলে জানান তিনি।
এই বিষয়ে পার্বত্য চট্টগ্রাম উন্নয়ন বোর্ড বান্দরবান ইউনিটের নির্বাহী প্রকৌশলী আবু বিন ইয়াসিন আরাফাত বলেন, পাহাড় কাটার জন্য অফিসের পক্ষ থেকে কোন প্রকার নির্দেশনা নেই।