বান্দরবানে সনাতনী সম্প্রদায়ের গঙ্গা পূজা ও বারুনী স্নান অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ ৩০মার্চ (বুধবার) বান্দরবানের আশীর্বাদ সংঘ এর আয়োজনে সাঙ্গু নদীর তীরে সকাল থেকে এই আয়োজন শুরু হয়।
এই অনুষ্ঠানে গঙ্গা পূজা, ভজন র্কীতন, মহাপ্রসাদ আস্বাদন, মঙ্গল প্রদীপ প্রজ্জ্বলন, গঙ্গা গৌর আরতি, হাজার প্রদীপ প্রজ্জলনসহ নানা ধর্মীয় আচার অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
এ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে ভোর থেকেই সনাতনী সম্প্রদায়ের শত শত পূর্ণার্থীরা সাঙ্গু নদীতে গঙ্গা মায়ের চরনে ভক্তি নিবেদন করে পাপ মুক্তির আশায় নদীর স্বচ্ছ পানিতে নেমে বারুনী স্নানে অংশ নেয়। জেলা ও উপজেলার বিভিন্ন দুর্গম এলাকার শত শত সনাতন ধর্মালম্বী নর-নারী নদীতে গঙ্গা স্মানের পাশাপাশি গঙ্গা মায়ের জন্য পূজা ও নিবেদন করে। নদীতে পূজা দেয়ার পাশপাশি মোমবাতি ও আগরবাতি জ্বালিয়ে অনেকে গঙ্গা দেবীকে প্রণাম নিবেদন করে।
এদিকে গঙ্গা পূজা ও বারুনী স্নান উপলক্ষে পূজাস্থলে চলছে মহানাম সংকীর্তন আর এই উপলক্ষে দেশের নানা প্রান্ত থেকে ভ্রাম্যমান ব্যবসায়ীরা নদীর চরে পসরা সাজিয়ে বসেছে বেচা-বিক্রির জন্য।
আশীর্বাদ সংঘ এর সভাপতি সুমন দাশ বলেন, প্রতি বছর মধুকৃষ্ণা এয়োদশীর তিথিতে মহাপূন্য লগ্নে সনাতনী সম্প্রদায়ের মঙ্গল কামনায় এই গঙ্গা পূজা ও বারুনী স্নানের আয়োজন করি আমাদের সংগঠনের পক্ষ থেকে আর আমাদের সার্বিক সহযোগিতা করে প্রশাসন।
তিনি আরও বলেন, এই পুর্ণ্য তিথিতে গঙ্গাস্নান করলে সকল প্রকার পাপ মোচন হয় বলে সনাতন ধর্মালম্বীরা বিশ্বাস করে থাকে। গঙ্গা পূজা ও বারুনী স্নান উপলক্ষে আমরা এবার ৩দিন নদীর চরে বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছি এবং আশা করি সফলভাবে এবারের সব আয়োজন সমাপ্তি হবে।
৩০ মার্চ (বৃহস্পতিবার) সকালে পুষ্পাঞ্জলী ও প্রতিমা নিরঞ্জনের মাধ্যমে তিনদিনব্যাপী এই গঙ্গা পূজা, বারুণী স্মান ও গঙ্গা আরতির সমাপ্তি হবে।