পাহাড়ে নতুন গজিয়ে ওঠা সশস্ত্র সংগঠন কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের সাথে অন্যান্য ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর কোন সম্পৃক্ততা নেই বলে নৃগোষ্ঠীগুলোর নেতৃবৃন্দ জানিয়েছেন। আজ বুধবার সকালে বান্দরবান শহরের অরুণ সারকী টাউন হলে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নৃগোষ্ঠীগুলোর নেতৃবৃন্দ এ কথা জানান। সম্প্রতি কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট তাদের সংগঠনের সাথে পাহাড়ের ম্রো, লুসাই, বম, খুমি, খেয়াং সহ ছয়টি জনগোষ্ঠী জড়িত রয়েছে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম সহ বিভিন্ন জায়গায় এরকম দাবি তুলার পর নৃগোষ্ঠীগুলোর নেতৃবৃন্দ সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য তুলে ধরেন। সচেতন নাগরিক সমাজের উদ্যোগে আয়োজিত এই সংবাদ সম্মেলনে অধ্যাপক থানজামা লুসাই, জেলা পরিষদের সদস্য সিংইয়ং ম্রো, সিংইয়ং খুমি, খুমি সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি লেলুং খুমি, খেয়াং সম্প্রদায়ের প্রতিনিধি ম্রাসা খেয়াং সহ অন্যান্যরা বক্তব্য রাখেন। বক্তব্যে নেতৃবৃন্দ বলেন এখনো কেউক্রাডং তাজিনডং এলাকায় কেএনএফ এর তাৎপরতা রয়েছে। তারা অপহরণ চাঁদাবাজি সহ বিভিন্ন অপকর্ম চালিয়ে যাচ্ছে। তাদের কারণে স্থানীয়রা এখন আতঙ্কিত ও অতিষ্ঠ। এসব সন্ত্রাসীদের নির্মূলের দাবি জানিয়েছেন নেতৃবৃন্দ। উল্লেখ্য বান্দরবান ও রাঙ্গামাটির জেলার মায়ানমার ভারত সীমান্ত সংলগ্ন এলাকায় দীর্ঘ দুমাসের বেশি সময় ধরে কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্টের সন্ত্রাসী কর্মকান্ড ও জঙ্গি তৎপরতা দমনে সেনাবাহিনী ও র্যাবের যৌথ অভিযান চলমান রয়েছে।