বান্দরবান পৌরসভা এলাকার বাসিন্দা দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ইমতিয়াজুল ইসলাম। ১১মাস বয়সে হঠাৎ শারীরিক অসুস্থায় হারিয়েছে নিজের দুইটি চোখ, তবে চোখ হারালেও মনের দিব্য চোখ দিয়ে এবারের এসএসসি পরীক্ষায় অর্জন করেছে জিপিএ ৪.৬১ পয়েন্ট। দরিদ্র পিতা মাতার সংসারে নানা প্রতিকুলতাকে পিছনে ফেলে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ইমতিয়াজুল ইসলাম নিজেকে ভবিষ্যতে কম্পিউটার বিশেষজ্ঞ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করে দেশের সেবা করতে চায়, প্রতিষ্ঠিত হতে বিত্তবানদের সহায়তার পাশাপাশি দৃষ্টি প্রতিবন্ধীদের আরো সরকারি সহযোগিতা বাড়াতে আহবান ইমতিয়াজুল ইসলামের।
মা-বাবা আর ২ভাইয়ের সাথে বান্দরবান পৌরসভার স্টাফদের জন্য নির্মিত ডরমেটরির একটি ছোট ঘরে বসবাস করে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী ইমতিয়াজুল ইসলাম। ১১মাস বয়সে চোখের রোগ গ্লুকোমা নিয়ে অন্ধত্ব বরণ করলে ও উদ্যামী মন দমিয়ে রাখতে পারেনি ইমতিয়াজুলকে আর প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় লড়াইয়ে প্রতিনিয়ত শ্রম দিচ্ছে এই দৃষ্টি প্রতিবন্ধী যুবক। পুত্রের চোখের এমন সমস্যায় দেশের বিভিন্নস্থানে চিকিৎসকদের দ্বারে দ্বারে ঘুরেও সুস্থ করা যায়নি তার চোখ।
এদিকে দৃষ্টি প্রতিবন্ধী হলেও অদম্য সাহস আর মেধা সম্পন্ন ইমতিয়াজুল ইসলামকে নিয়ে তার মা আর বাবার ছিল উচ্চ আকাঙ্খা, আর তাই ছেলেকে প্রতিষ্ঠিত করতে প্রতিনিয়ত শ্রম দিচ্ছে তার পিতা-মাতা ।
বান্দরবান পৌরসভার খন্ডকালীন গাড়ী চালক ইমতিয়াজুল ইসলামের পিতা খায়রুল বশর জানান, ইমতিয়াজুল বয়স যখন ১১ মাস ছিল তখন হঠাৎ করে তার চোখ নষ্ট হয়ে যায় আর পুত্রকে সুস্থ করতে দেশের বিভিন্ন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকদের দ্বারে দ্বারে গিয়েছি কিন্তু কয়েকবার অপারেশন করেও তার চোখ ভালো করা যায়নি।