বান্দরবানের সীমান্ত এলাকায় জঙ্গী সংগঠন ও কুকি চিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর বিরুদ্ধে নিরাপত্তা বাহিনীর যৌথ অভিযানের কারনে গত ১৭ অক্টোবর থেকে পর্যটক যাতায়াতে একের পর এক নিষেধাজ্ঞা জারির কারনে বান্দরবানে পর্যটন শিল্প ক্ষতিগ্রস্ত হয়। আর এই আর্থিক ক্ষতি কাটাতে এবং শীতে পর্যটকদের ভ্রমনে উৎসাহিত করতে হোটেল মোটেল, গাড়ি, রেঁস্তোরাতে ছাড়ের ঘোষনা দিয়েছে পর্যটন শিল্পের সাথে সংশ্লিষ্ট একাধিক ব্যবসায়ি সংগঠন।
আজ মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) সকালে বান্দরবানের প্রেসক্লাবের হলরুমে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে বান্দরবান হোটেল মোটেল এন্ড রির্সোট ওনার্স এসোসিয়েশন, রেঁস্তোরা মালিক সমিতি, মাইক্রোবাস জীপ ও পিকআপ মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দরা উপস্থিত থেকে ডিসেম্বর মাসে বান্দরবান ভ্রমনে পর্যটকদের বিশাল ছাড় প্রদান করার ঘোষনা করেন।
এসময় বান্দরবান হোটেল মোটেল এন্ড রির্সোট ওনার্স এসোসিয়েশন, রেঁস্তোরা মালিক সমিতি, মাইক্রোবাস জীপ ও পিকআপ মালিক সমিতির নেতৃবৃন্দরা জানান, আগামী ১৩ ডিসেম্বর থেকে ২০ ডিসেম্বর পর্যন্ত বান্দরবানের সব হোটেল ও রিসোর্ট এ ৩০ শতাংশ, ট্যুরিস্টবাহী মাইক্রোবাস জীপ ও পিকআপ এ ২০ শতাংশ এবং সকল রেঁস্তোরায় পর্যটকদের জন্য ১০ শতাংশ ছাড় দেয়া হবে।
এসময় সমিতির নেতৃবৃন্দরা আরো জানান, পুরো ডিসেম্বর মাস জুড়েই পর্যটকদের বান্দরবান ভ্রমনে বিভিন্ন ছাড়ের পাশাপাশি তাদের বিণোদনের জন্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানসহ নানা ধরণের আয়োজন করা হবে।
এসময় সংবাদ সম্মেলনে বান্দরবান হোটেল মোটেল এন্ড রির্সোট ওনার্স এসোসিয়েশন এর সভাপতি অমল কান্তি দাশ, রেঁস্তোরা মালিক সমিতির সভাপতি গিয়াস উদ্দিন মাস্টার, মাইক্রোবাস জীপ ও পিকআপ মালিক সমিতির সভাপতি নাছিরুল আলমসহ স্থানীয় সংবাদকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রসঙ্গত, গত ১৭ অক্টোবর থেকে বান্দরবানের ৫টি উপজেলায় পর্যটক ভ্রমনে জেলা প্রশাসনের নিষেধাজ্ঞা থাকলে ৩টি উপজেলায় প্রত্যাহার করা হয়। দেশি বিদেশী পর্যটকদের ভ্রমন সংক্রান্ত জারিকৃত গণ বিজ্ঞপ্তির ধারাবাহিকতায় সদর দপ্তর বান্দরবান রিজিয়ন, বান্দরবান সেনা নিবাসের ৮ ডিসেম্বর এক পত্রের আলোকে পর্যটকদের নিরাপত্তার বিষয়টি বিবেচনাকরত জেলার রুমা, রোয়াংছড়ি উপজেলায় স্থানীয় ও বিদেশী পর্যটকদের ভ্রমন সংক্রান্ত নিষেধাজ্ঞা অনির্দিষ্টকালের জন্য আরোপ করা হয়।