প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মাধ্যমে যাত্রা শুরু করলো বান্দরবানের রেইচা-গোয়ালিখোলা সাঙ্গু নদীর উপর নির্মিত ২২০মিটার দৃষ্টিনন্দন পিসি গার্ডার ব্রিজ।
আজ মঙ্গলবার (১৪ নভেম্বর) প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা যুক্ত হয়ে একদিনে দেশের ১৫৭টি উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় ১০হাজার ৪১টি অবকাঠামোর সমন্বিত উদ্বোধন ও ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপন করেন। ২৪টি মন্ত্রণালয়ের আওতাধীন এসব প্রকল্পের ব্যয় প্রায় ৯৭ হাজার ৪৭১ কোটি টাকা। এসময় গণভবনের সঙ্গে ৬৪টি জেলা প্রশাসকের কার্যালয়সহ সারা দেশের ১০১টি প্রান্ত ভিডিও কনফারেন্সে যুক্ত ছিল।
এদিকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে বান্দরবানের রেইচা-গোয়ালিখোলা সাঙ্গু নদীর উপর নির্মিত ২২০মিটার পিসি গার্ডার ব্রিজটি উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী।
ভিডিও কনফারেন্সের বান্দরবান প্রান্তে জেলা প্রশাসক কার্যালয়ের সভাকক্ষে উপস্থিত থেকে যুক্ত ছিলেন বান্দরবানের জেলা প্রশাসক শাহ্ মোজাহিদ উদ্দিন। এসময় পুলিশ সুপার সৈকত শাহীন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক মো.সাইফুল ইসলাম, পৌরসভার মেয়র মো.সামুসুল ইসলাম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে হাবীবা মীরা, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান একেএম জাহাঙ্গীর,স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বান্দরবানের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.জিয়াউল ইসলাম মজুমদার, প্রেসক্লাবের সভাপতি আমিনুল ইসলাম বাচ্চু, সাধারণ সম্পাদক মিনারুল হকসহ সরকারি বিভিন্ন দফতরের উর্ধতন কর্মকর্তা এবং প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রধানমন্ত্রীর সরকারি বাসভবন গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্স শেষে জেলা প্রশাসকসহ প্রশাসনের কর্মকর্তারা বান্দরবানের রেইচা-গোয়ালিখোলা এলাকায় সাঙ্গু নদীর উপর নির্মিত মনোরম ও আধুনিকমানের ২২০মিটার পিসি গার্ডার ব্রিজটি পরিদর্শন করেন এবং স্থানীয় বাসিন্দাদের সাথে সংক্ষিপ্ত মতবিনিময় সভা করেন।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বান্দরবানের নির্বাহী প্রকৌশলী মো.জিয়াউল ইসলাম মজুমদার জানান, বান্দরবানের রেইচা-গোয়ালিখোলা এলাকায় সাঙ্গু নদীর উপর নির্মিত মনোরম ও আধুনিকমানের ২২০ মিটার পিসি গার্ডার ব্রিজটি প্রধানমন্ত্রী আনুষ্ঠানিক উদ্বোধনের মাধ্যমে এই ব্রিজের যাত্রা শুরু হলো।
স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর (এলজিইডি) বান্দরবানের বাস্তবায়নে প্রায় ১৪কোটি ১০লক্ষ টাকা ব্যয়ে এই ব্রিজটি উদ্বোধনের ফলে রেইচা, গোয়ালিখোলা,চেমী,শামুকঝিড়ি ও ডলপুাড়ার স্থানীয় বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের কষ্ট লাঘব হয়েছে।
তিনি আরো জানান, ব্রিজটি নির্মাণের ফলে বান্দরবান, কক্সবাজার, চট্টগ্রাম আর রাঙ্গামাটির সড়ক পথের দুরত্ব কমার পাশাপাশি স্থানীয় বাসিন্দাদের দীর্ঘদিনের কষ্ট লাঘব হবে। নতুন এই ব্রিজ চালু হওয়ায় ফলে কৃষি-অকৃষিজ পণ্য পরিবহণ ও বাজারজাতকরণ সহজ হয়েছে এবং এলাকার উন্নয়ন ও আর্থ সামাজিক অবস্থার আরো ব্যাপক উন্নয়ন সাধিত হবে।