বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ময়মনসিংহ জেলা ও মহানগর কমিটিতে থাকা পাঁচ নেতা ছাত্রদলে যোগ দিয়েছেন। গতকাল শনিবার রাত ৯টার দিকে বিএনপির দলীয় কার্যালয়ে ফুলের মালা দিয়ে তাঁদের বরণ করে নেওয়া হয়।
ছাত্রদলে যোগ দেওয়া পাঁচজন হলেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের জেলা শাখার সংগঠক কাউসার হাসান, মহানগর কমিটির সহমুখপাত্র রিশাদুল আলম, সদস্য ফারদিন আলম, নামি আহমেদ ও বাঁধন রহমান।
ছাত্রদলে যোগ দেওয়া বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মহানগর কমিটির সহমুখপাত্র রিশাদুল আলম বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন ধরে জুলাই অভ্যুত্থানসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে জাতীয়তাবাদী শক্তির আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে লড়াই করেছি। আমরা ভবিষ্যতেও মেধাভিত্তিক, তারুণ্যনির্ভর একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ গঠনে সক্রিয়ভাবে কাজ করে যাব।’
ছাত্রদলে যোগ দেওয়ার কারণ হিসেবে রিশাদুল বলেন, তিনি আগে থেকেই জাতীয়তাবাদী আদর্শ লালন করেন এবং এর ভিত্তিতে নানা লড়াই–সংগ্রামে অংশগ্রহণ করেছেন। কিন্তু তাঁর অনিচ্ছায় তাঁর ও অন্যদের বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে পদায়ন করা হয়। এর পরিপ্রেক্ষিতে তিনি পদত্যাগ করে ছাত্রদলে যোগ দিয়েছেন।
ময়মনসিংহ নগরের নতুন বাজারের বিএনপি দলীয় কার্যালয়ে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের পাঁচ নেতাকে ফুল দিয়ে বরণ করে নেন ছাত্রদল কেন্দ্রীয় সংসদের সহসভাপতি শাকির আহমেদ এবং যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রিসালাত ইসলাম। এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন নবগঠিত ময়মনসিংহ মহানগর ছাত্রদলের সভাপতি গোবিন্দ রায়, সাধারণ সম্পাদক আল মো. রাফসান সামি প্রমুখ।
গোবিন্দ রায় বলেন, ‘ছাত্রদলে যোগ দেওয়া পাঁচজনকে ফুলের মালা দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়েছে। জাতীয়তাবাদী আদর্শ লালন করে তাঁরা ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ে সক্রিয় কর্মী ছিলেন। আমরা তাঁদের স্বাগত জানিয়েছি।’
সংগঠনের পাঁচ নেতার ছাত্রদলে যোগ দেওয়ার বিষয়টি নজরে আনা হলে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন ময়মনসিংহ মহানগর শাখার আহ্বায়ক অলি উল্লাহ বলেন, ‘ছাত্রদলে যোগ দেওয়ার বিষয়টি আমাদের জানা নেই। যদি কেউ যোগ দিতে চান, তাহলে জোর করে আমাদের প্ল্যাটফর্মে রাখাও সম্ভব নয়।’