করোনা মহারারিতে দুই বছর অপ্রত্যাশিত বন্ধের পর বৈশাখের বাতাবরণে মঙ্গল শোভাযাত্রায় বাঙ্গালিরা নিজেদেরকে তুলে ধরেছেন স্বমহিমায়। রজনীকান্ত সেনের গীতিকবিতা পংক্তি ‘নির্মল করো, মঙ্গল করে মলিন মর্ম মুছায়ে’ প্রতিপাদ্য করে শুরু হয় মঙ্গল শোভাযাত্রার।
বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের এ মঙ্গল শোভাযাত্রায় ছিল দেখার মতো ভিড়। দীর্ঘ দুই বছর পর রূপ নেয় মিলন মেলায়।
আজ (বৃহস্পতিবার) সকালে ৯ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) এলাকার সড়কদ্বীপ থেকে শোভাযাত্রাটি শুরু হয়ে পুনরায় টিএসসিতে এসে শেষ হয় শোভাযাত্রা। তবে মেট্রোরেলের নির্মাণ কাজের জন্য চেনা পথ বদলে নতুন পথ নীলক্ষেত হয়ে গন্তব্যে ফেরে।
শোভাযাত্রায় ছিল বিশালকায় সব চারুকর্ম, পাপেট, হাতি ও ঘোড়াসহ বিচিত্র সাজসজ্জা। জঙ্গী হামলার আশঙ্কায় শুরু থেকেই কঠোর নিরাপত্তার চাদরে পুরো এলাকা মোড়ানো ছিল। তার মধ্যেই শেষ হয় শোভাযাত্রা।
রমনা বটমূল এবং এর আশপাশ এলাকায় পহেলা বৈশাখের সব কার্যক্রম বেলা দুইটার মধ্যে শেষ করতে হবে বলে আগেই নির্দেশনা দেয়া হয়েছিল।
১৯৮৯ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা ইন্সটিটিউটের উদ্যোগে শুরু হয়েছিল শোভাযাত্রা, যা তখন ‘আনন্দ শোভাযাত্রা’ নামে পরিচিত ছিল। সে বছরই লোকজনের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে সক্ষম হয় ওই আনন্দ শোভাযাত্রা। চারুকলা ইন্সটিটিউটের শিক্ষক শিক্ষার্থীরা পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে এই আনন্দ শোভাযাত্রা বের করে।
পহেলা বৈশাখ উদযাপন উপলক্ষে আনন্দ শোভাযাত্রা শুরু থেকেই জনপ্রিয়তা পেয়ে যায়। পরে, চারুকলার এই আনন্দ শোভাযাত্রা মঙ্গল শোভাযাত্রা হিসেবে নাম পায়। বাংলা নববর্ষের অন্যতম অনুষঙ্গ মঙ্গল শোভাযাত্রা জাতিসংঘের সংস্থা ইউনেস্কোর সাংস্কৃতিক ঐতিহ্যের তালিকায় স্থান করে নিয়েছে।