বাংলাদেশি ও হাঙ্গেরিয়ান চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মীদের নিয়ে সিরাজগঞ্জে ইন্টারন্যাশনাল সার্জিক্যাল কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল ১৪ মে (শনিবার) শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজের হলরুমে দিনব্যাপী এ ইন্টারন্যাশনাল সার্জিক্যাল কনফারেন্সে বাংলাদেশের প্রায় ৫০০ চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মী এবং হাঙ্গেরি থেকে আসা ১৩ সদস্যের চিকিৎসক ও চিকিৎসাকর্মী অংশগ্রহণ করেন।
সোস্যাইটি অব সার্জনসের প্রেসিডেন্ট এবং জেনারেল হেলথ সার্ভিসের ডিরেক্টর ডাঃ এ বি এম খুরশিদ আলম কনফারেন্সে চেয়ারপারসনের দায়িত্ব পালন করেন। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন স্থানীয় সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ হাবিবে মিল্লাত মুন্না। বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন সিরাজগঞ্জ-৩ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ডাঃ আব্দুল আজিজ, কনসাল অব হাঙ্গেরি এইচ ই সান্দর অঠেলান, বিএসএমএমইউ’র সাবেক ভিসি ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া। অনুষ্ঠানে সহযোগিতা করেন সহকারী অধ্যাপক (সার্জারি) ডাঃ মোহাম্মদ মোস্তাফিজুর রহমান, কনসালটেন্ট ডা. আবু রায়হান, ডাঃ আমিনুল ইসলাম ও আরএস ডাঃ প্রবিন কুমার মাহাতো।
এই কনফারেন্সে দুই দেশের সার্জন কর্তৃক সম্পন্ন ল্যাপারস্কোপিক ও পল্লাস্টিক সার্জারি অপারেশন দেখানো হয়, যা দেশে ও দেশের বাইরে থেকে ইন্টারনেটে সম্প্রচার করা হয়। এতে করে দুই দেশের মধ্যে টেকনোলজি ট্রান্সফারের সুযোগ হয়।
শহীদ এম মনসুর আলী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সার্জারি বিভাগের প্রধান ডাঃ মো. জাহিদুল ইসলাম বলেন, ঢাকার বাইরে কোন জেলা শহরে এই ধরনের ইন্টারন্যাশনাল কনফারেন্স আয়োজনের নজির নেই। আমরাই প্রথম সিরাজগঞ্জে এত বড় সার্জিক্যাল কনফারেন্স আয়োজন করেছি। এর পাশাপাশি সার্জিকেল ক্যাম্পে অ্যাডভান্স ল্যাপারোস্কপিক সার্জারি হচ্ছে সেখানে শুধু রোগীরাই উপকৃত হচ্ছেন না বরং বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরাও শিখছেন অ্যাডভান্স ল্যাপারোস্কপির কাজ। জন্মগত পঙ্গু, আঘাতজনিত পঙ্গু, আগুনে পোড়া বা এসিডে ঝলসানো মানুষটিও চিকিৎসার মাধ্যমে ফিরে যেতে পারছেন তার স্বাভাবিক জীবনে।
প্রসঙ্গত, কনফারেন্সের আগে ও পরে মিলিয়ে ১০ দিনের একটি ল্যাপারস্কোপিক ও পল্লাস্টিক সার্জারি ক্যাম্প ডাঃ গ্রেগ পাঠাকীর নেতৃত্বে সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যাবিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতালে অনুষ্ঠিত হয়।