বড়দিনের উৎসবের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ হচ্ছে ক্রিসমাস ট্রি। এর জন্য বিশ্ব কাকে ধন্যবাদ দেবে? অবশ্যই ব্রিটেনের রাণী ভিক্টোরিয়া ও প্রিন্স আলবার্টকে।
প্রিন্স ছিলেন ব্রিটেনের রাণী ভিক্টোরিয়ার স্বামী। ব্রিটেনের রাণীর স্বামী হলেও তিনি কিন্তু ব্রিটিশ ছিলেন না। জাতিতে জার্মান কনসর্ট আলবার্ট নামের এই ভদ্রলোক ব্রিটেনে বড়দিনে উৎসবে একটি বিশেষ অংশ যোগ করেন। আর সেটা হলো ক্রিসমাস ট্রি। তিনি ও তাঁর স্ত্রী মিলে পরিবারের বড়দিনের উৎসব পালনের সময় টেবিলে ক্রিসমাস ট্রি সাজিয়ে রাখা শুরু করেন। এই দৃশ্য ইলাস্ট্রেটর লন্ডন নিউজ পত্রিকায় স্কেচ বা ছবি আকারে প্রকাশ করা হয়। এরপর থেকে বড়দিনে ক্রিসমাস ট্রির প্রচলন জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
সান্তা ক্লজ উপহার নিয়ে এবারও অপেক্ষায় থাকবে শিশুদের জন্যছবি: সংগৃহীত
বড়দিনের উৎসবের সবচেয়ে বড় প্রতীকের নাম সান্তাক্লজ। সেন্ট নিকোলাস নামের এক বিশপের চরিত্র অনুসারে সান্তাক্লজের চরিত্র নির্মাণ করা হয়। বড়দিনে যে সান্তাক্লাজকে আমরা দেখি, তিনি খুব হাসিখুশি আর মজার এক চরিত্র। কিন্তু বাস্তবে সেন্ট নিকোলাস ছিলেন একটু ভিন্ন। সারা জীবন তিনি অভাবগ্রস্ত মানুষদের সেবা করেছেন। তিনি তাঁর সব কিছু গরীব ও অসহায়দের দান করে গিয়েছিলেন। ডাচ ভাষায় তাঁর নাম সিন্টার ক্লস। সেখান থেকে সান্তাক্লজ নামটি এসেছে।
মোজার ভেতর থেকে বেরিয়ে এল বড়দিনের উপহার। মডেল: নিধি ও ঋদ্ধি
সেন্ট নিকোলাস ছিলেন ভীষণ দয়ালু এক ব্যক্তি। একবার তিনি জানতে পারলেন এক লোক টাকার অভাবে মেয়ের বিয়ে দিতে পারছেন না। তিনি তখন সেই লোকের বাড়ি-ঘর গরম করার চিমনী ভেতরে কিছু টাকা দিলেন, যেন সেটি সেই লোকের চিমনি দিয়ে ফায়ার-প্লেসে পড়ে । কিন্তু সেই চিমনিতে কিছু মোজা শুকানোর জন্য রাখা ছিল দেখে টাকাগুলো সব মোজার ভেতরে আশ্রয় নেয়। সেই থেকে মোজার ভেতর উপহার দেওয়ার রীতি শুরু।