ঝাড়খন্ডের ‘পবিত্র ভূমি’ থেকে মুসলিমদের তাড়িয়ে দিতে চায় কট্টর হিন্দুরা
সিএইচটি টিভি ডেস্ক
  • প্রকাশিত : 07-09-2024
ফাইল ছবি : সংগৃহীত

ভারতের উত্তরাখন্ড রাজ্যের বন-পাহাড়ঘেরা ছোট্ট শহর পুরোলা। সেখানে একসময় বাড়ি আর দোকান ছিল মোহাম্মদ সেলিমের। কিন্তু এখন কিছু নেই। এক বছর আগে আরও শতাধিক মুসলিম পরিবারের সঙ্গে তাঁকেও বাড়িছাড়া করেন কট্টরপন্থী হিন্দুরা। প্রতিবেশী অন্য অনেকের চেয়ে স্বাবলম্বী থাকলেও এখন পরিবারের জন্য দুই বেলা খাবার জোটানোই তাঁর জন্য কষ্টসাধ্য হয়ে উঠেছে।

পুরোলায় কট্টরপন্থী হিন্দু প্রতিবেশীদের হাতে সেলিমের মতো যাঁরা প্রতিহিংসার শিকার হয়েছেন, তাঁদের মুখে এখনো হতাশা ও আতঙ্কের ছাপ। বাড়িঘর ছেড়ে পালাতে বাধ্য করা সেই প্রতিবেশীরাই এখন পুরো অঞ্চলটি ‘ইসলামমুক্ত’ করতে চায়। কারণ, তারা মনে করে অঞ্চলটি ‘হিন্দুদের পবিত্র ভূমি’।

২০২৩ সালের মে মাসে পুরোলায় সংখ্যালঘু মুসলিমদের উচ্ছেদ শুরু হয়। সেসব কথা স্মরণ করলে এখনো গা শিউরে ওঠে বলে জানালেন মোহাম্মদ সেলিম। সেখানে স্ত্রী ও তিন মেয়েকে নিয়ে সাজানো সংসার ছিল ৩৬ বছর বয়সী সেলিমের। তিনি বললেন, ‘সেদিন যদি না পালাতাম, তাহলে তারা আমাদের সবাইকে মেরে ফেলত।’

পুরোলায় কাপড়ের দোকান ছিল সেলিমের। সেই দোকানও লুট হয়েছিল। এখন উত্তরাখন্ডে হিন্দুদের পবিত্র স্থান হিসেবে পরিচিত হরিদ্বার শহর থেকে ১০০ কিলোমিটার দূরে বসবাস করছেন তিনি।

পরিবার নিয়ে মোহাম্মদ সেলিমের বাড়ি ছাড়ার ঘটনা যাঁরা ‘উদ্‌যাপন’ করেছিলেন, তাঁদের একজন রাকেশ তোমার (৩৮)। কট্টরপন্থী এই হিন্দু নেতা সংখ্যালঘু মুসলিমদের বিরুদ্ধে ঘৃণা-বিদ্বেষ ছড়ান। তিনি মনে করেন, মুসলিমরা তাঁদের জন্য ‘হুমকি’।


 

শেয়ার করুন