বাংলাদেশের সমুদ্রসীমার শেষ প্রান্তে মাছ আহরণের সময় ৭৯ নাবিকসহ দুটি ট্রলার জব্দ করে নিয়ে গেছে ভারতীয় কোস্টগার্ড। খুলনার হিরণ পয়েন্ট এলাকার অদূরে গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় তারা ট্রলারসহ নাবিকদের ধরে নিয়ে যায় বলে মালিক্ষপক্ষ ও নৌপরিবহন অধিদপ্তর নিশ্চিত করেছে।
এই দুটি নৌযান হল এফভি লায়লা–২ ও এফবি মেঘনা–৫। এফভি লায়লা–২–এর মালিক প্রতিষ্ঠান এস আর ফিশিং। এফভি মেঘনা–৫ এর মালিক প্রতিষ্ঠান সিঅ্যান্ডএ অ্যাগ্রো লিমিটেড।
সিঅ্যান্ডএ অ্যাগ্রো লিমিটেডের নির্বাহী পরিচালক সুমন সেন প্রথম আলোকে বলেন, ট্রলার দুটি বাংলাদেশের সমুদ্রসীমা থেকে এক নটিক্যাল মাইল ভেতরে ১০ দিন ধরে মৎস্য আহরণে নিয়োজিত ছিল। গতকাল সকাল ১০টার দিকে ভারতীয় কোস্টগার্ডের একটি নৌযান এফভি মেঘনা–৫ ও এফভি লায়লা–২ ধরে নিয়ে যায়।
সুমন সেন বলেন, ভারতীয় কোস্টগার্ডের হাতে আটকের পর তারা ভারতীয় নৌবাহিনীর কাছে হস্তান্তর করেছেন। নাবিকেরা সবাই ভালো আছে বলে ট্রলারটির ক্যাপ্টেন রাহুল বিশ্বাস বেতারবার্তায় কোম্পানির অন্য ট্রলারে জানিয়েছেন।
এ ঘটনার পর ট্রলার দুটির মালিকপক্ষ নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলমের সঙ্গে দেখা করেছেন। এ সময় নাবিকসহ ট্রলার দুটি উদ্ধারে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে বলে মালিকপক্ষকে জানান অধিদপ্তরের মহাপরিচালক।
জানতে চাইলে নৌপরিবহন অধিদপ্তরের মহাপরিচালক কমোডোর মোহাম্মদ মাকসুদ আলম প্রথম আলোকে বলেন, ‘ট্রলার দুটি আমাদের সমুদ্রসীমার কাছেই মৎস্য আহরণে নিয়োজিত ছিল। সেখান থেকে ভারতীয় কোস্টগার্ড নিয়ে যায়। ঘটনার পর বাংলাদেশের কোস্টগার্ডসহ সরকারি সংস্থাগুলো ভারতের কর্তৃপক্ষের সঙ্গে যোগাযোগ করেছে। ট্রলার দুটি উদ্ধারে পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’