তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, শেখ হাসিনার দৃঢ় নেতৃত্বে সারাদেশের ন্যায় পার্বত্য চট্টগ্রামেও উন্নয়নের জোয়ার চলছে। ১৪বছর আগে পার্বত্য চট্টগ্রাম, আজকের পার্বত্য চট্টগ্রামের মধ্যে অনেক তফাৎ। আগে শহর থেকে গ্রামে আসতে অনেক কষ্ট, যোগাযোগ ব্যবস্থা ভালো নয়। কিন্তু বর্তমানে যেখানে যাই শুধুই উন্নয়ন। উন্নয়নের অবদান জননেত্রী শেখ হাসিনার। পার্বত্য চট্টগ্রামে রাস্তা বানিয়ে দিচ্ছে। বৃহত্তর পার্বত্য চট্টগ্রামের জন্য যে বরাদ্দ দেওয়া হয়, তা কোন জেলায় এতো বরাদ্দ দেওয়া হয় না।
শনিবার (১১ই মার্চ) দুপুরে খাগড়াছড়ি সরকারি কলেজ মাঠে কৃষকলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলনে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি আরো বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়ন ও অগ্রগতির পথে এগিয়ে যাচ্ছে। অথচ বিএনপির নেতাদের এ উন্নয়ন সহ্য হচ্ছে না। তিনি শেখ হাসিনা সরকারের উন্নয়নের ফিরিস্তির বর্ণনা দিয়ে বলেন, বাংলাদেশে খালি পায়ের মানুষ দেখা যায় না, ছেঁড়া কাপড়ে মানুষ দেখা যায় না। গ্রামে কুঁড়েঘর দেখা যায় না। কুঁড়েঘর থাকলেও তা রান্নাঘর অথবা গোয়ালঘর হিসেবে ব্যবহার হয়। সেই কুঁড়েঘরও এখন টিনের ছাউনী। কুঁড়েঘর এখন শুধু কবিতায় আছে। তিনি বলেন, খাগড়াছড়ি থেকে যে ছেলে দশ বছর আগে বিদেশে গেছেন ফিরে আসলে নিজের শহর চিনতে পারবে না। গ্রামের যে মেঠো পথ মাড়িয়ে ছেলেটি বিদেশে গিয়েছিল, সেই মেঠো পথ এখন পিচঢালা সড়ক হয়ে গেছে। বিএনপির নেতারা এসব উন্নয়নে সহ্য হয় না।
সমাবেশে জেলা কৃষকলীগের আহবায়ক পিন্টু ভট্টাচার্য’র সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন খাগড়াছড়ির সংসদ সদস্য ও ভারত প্রত্যাগত শরনার্থী বিষয়ক টাস্কফোর্স’র চেয়ারম্যান কুজেন্দ্র লাল ত্রিপুরা, খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মংসুইপ্রু চৌধুরী অপু, বাংলাদেশ কৃষকলীগের সহ-সভাপতি আকবর আলী চৌধুরী ও সাধারণ সম্পাদক (ভাব:) বিশ্বনাথ সরকার (বিটু), বাংলাদেশ কৃষকলীগের দপ্তর সম্পাদক ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় সমন্বয়ক রেজাউল করিম রেজা, সহ-আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক মো. আরমান চৌধুরী প্রমুখ।
এসময় জেলা আওয়ামীগের উপ-দপ্তর সম্পাদক মো. নুরুল আজমের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা কৃষকলীগের সদস্য-সচিব খোকন চাকমা।
সম্মেলনে পিন্টু ভট্টাচার্যকে সভাপতি ও খোকন চাকমাকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা কমিটির নাম ঘোষণা করা হয়।