বর্ষার ভারি বর্ষণের পাহাড়ি ঢলে খাগড়াছড়ির সকল উপজেলার নিম্নাঞ্চল প্লাবিত হয়েছে। এতে বন্যার আশংখাও রয়েছে। বিশেষ করে জেলার দীঘিনালা উপজেলার মেরুং, কবাখালী, বোয়ালখালী ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চল এলাকাগুলোর রাস্তা-ঘাট বাড়িঘরে পানি ঢুকতে শুরু করেছে। পাহাড়ের পাদদেশে বসবারত পরিবারগুলোর এমন বর্ষনের জন্য পাহাড় ধসেরও আশংঙ্খা রয়েছে।
মেরুং ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাহমুদা বেগম লাকী বলেন, প্রতি বছর মেরুং ইউনিয়নের নিচু এলাকাগুলোতে পানি উঠে রাস্তাঘাট-বাড়িঘর তলিয়ে যায়। আষাঢ় মাসের টানা ভারী বর্ষন ও উজান থেকে নেমে আসা পাহাড়ি ঢলের ফলে পানি বৃদ্ধি পেয়ে বন্যার আশঙ্কা রয়েছে। তবে ঝুঁকিপূর্ণ এলাকার পরিবার গুলোকে আশ্রয় কেন্দ্রে চলে আসার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ভারি বর্ষণ অব্যাহত থাকলে খাগড়াছড়ির চেঙ্গী, মাইনী ও ফেনী নদীর পানি বেড়ে বন্যার শঙ্কা রয়েছে।
দীঘিনালা উপজেলা নির্বাহী অফিসার ফাহমিদা মুস্তফা বলেন, উপজেলায় বন্যার আশংঙ্খা রয়েছে। তবে ইতিমধ্যে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে ঝুঁকিপূর্ন এলাকায় মাইকিং করা হয়েছে। ঝুঁকিপূর্ন এলাকার লোকজনকে আশ্রয় কেন্দ্রে আসার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হয়েছে। উপজেলা প্রশাসন দূর্যোগ মোকাবেলায় প্রস্তুত রয়েছে।
খাগড়াছড়ি পৌরসভার মেয়র নির্মলেন্দু চৌধুরী জানান, ভারি বর্ষণে পাহাড়ধসের শঙ্কা মাথায় রেখে ২ টি আশ্রয়কেন্দ্র প্রস্তুত রাখা হয়েছে। মাইকিং করে জনগণকে সতর্ক করা হচ্ছে।