জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম বলেছেন, ‘যত দিন না পর্যন্ত খুনি হাসিনাকে ফাঁসির মঞ্চে দেখছি, তত দিন যেন কেউ ভুলক্রমেও নির্বাচনের কথা না বলে।’
আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকার রায়েরবাজারে অভ্যুত্থানের সময় শহীদ হওয়া ছাত্র–জনতার কবর জিয়ারত করতে যান এনসিপির নেতারা। সেখানে সারজিস আলম এ কথা বলেন। এর আগে সকাল সাড়ে আটটার দিকে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন তাঁরা।
সারজিস আলম আরও বলেন, ‘খুনি হাসিনা লাশ কই ফেলেছে, তা জানা যায়নি। মায়েরা লাশ খুঁজতে ছুটে বেড়াচ্ছেন। খুনির বিচার না হওয়া পর্যন্ত কীভাবে এই বাংলাদেশে অন্যকিছু চিন্তা করব।’
দলের আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে যে দমন–পীড়ন হয়েছে, তার দ্রুত বিচার চাই। ন্যায়বিচারের মধ্য দিয়ে যাঁরা আত্মত্যাগ করেছেন এবং আহত হয়েছেন, তাঁদের কষ্ট কিছুটা হলেও দূর করা সম্ভব। এই বিচার যেন নিদর্শন হয়ে থাকে, আর যেন কোনো ফ্যাসিজম গড়ে না ওঠে।’
নির্বাচন প্রসঙ্গে নাহিদ ইসলাম বলেন, গণপরিষদ নির্বাচনের মাধ্যমে একটি নতুন সংবিধান ও প্রকৃত গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় উত্তরণে সহায়তা করবে। জাতীয় নির্বাচনে গণপরিষদ নির্বাচন ও সংসদ নির্বাচন একসঙ্গে হতে পারে। এর মাধ্যমেই নতুন কাঠামো এবং নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা সম্ভব হবে।
আজ মঙ্গলবার সকালে ঢাকার রায়েরবাজারে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে শহীদদের কবর জিয়ারত করতে যান এনসিপির নেতারা
মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, সরকার ছাত্র-জনতার রক্তের ওপর এসেছে। তাদের মনে রাখতে হবে বিচার নিশ্চিত করতে না পারলে পুরো প্রক্রিয়া প্রশ্নবিদ্ধ হবে। দ্রুততম সময়ে বিচার নিশ্চিত করতে হবে। প্রয়োজনে বিশেষভাবে ট্রাইব্যুনালের সংখ্যা বাড়িয়ে বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
ঢাকার রায়েরবাজারে এসেছেন এক অভিভাবক
রায়েরবাজারে এনসিপির সদস্যসচিব আখতার হোসেন, মুখ্য সমন্বয়ক নাসীরুদ্দীন পাটওয়ারী, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মুখ্য সমন্বয়ক আবদুল হান্নান মাসউদ প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।