চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলায় বিয়ে না করানোয় ছেলে ক্ষুব্ধ হয়ে তাঁর মাকে কুপিয়ে হত্যা করেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার দুপুরে উপজেলার পাইকপাড়া ইউনিয়নের ইছাপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে অভিযুক্ত ছেলেকে গ্রেপ্তার করে। আজ শনিবার বিকেলে চাঁদপুর জেলা পুলিশ সুপার কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানায় পুলিশ।
মারা যাওয়া নারীর নাম রানু বেগম (৫৭)। তিনি ফরিদগঞ্জ উপজেলার ইছাপুর গ্রামের আতর খানের স্ত্রী। এ ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া তাঁর ছেলের নাম রাসেল (২৭)।
মামলার বরাত দিয়ে সংবাদ সম্মেলনে চাঁদপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন ও অর্থ) সুদীপ্ত রায় বলেন, তিন বোন ও দুই ভাইয়ের মধ্যে সবার ছোট রাসেল দীর্ঘদিন ধরেই বিয়ে করার জন্য পরিবারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছিলেন। কিন্তু ছেলে বেকার হওয়ায় তাঁর কথায় কেউ কর্ণপাত করেননি। বিয়ের দাবি পূরণ না করায় গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাসেল তাঁর মাকে একা পেয়ে ধারালো কাঁচি দিয়ে কুপিয়ে হত্যা করে পালিয়ে যান। পরে বাবাকে ফোন করে মাকে কুপিয়ে ঘরে ফেলে আসার কথা জানান রাসেল। এর আগে রাসেল তাঁর বাবা আতর খানকেও পিটিয়েছিলেন।
এ ঘটনায় আতর খান বাদী হয়ে আজ শনিবার সকালে অভিযুক্ত ছেলে রাসেলের বিরুদ্ধে ফরিদগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা করেন। ঘটনার পর পুলিশ অভিযান চালিয়ে গতকাল রাত আটটার দিকে ফরিদগঞ্জের কেরোয়া এলাকা থেকে রাসেলকে আটক করে। এ সময় ধারালো রক্তমাখা কাঁচি, শার্ট ও লুঙ্গি জব্দ করা হয়েছে। পরে ওই মামলায় রাসেলকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। আজ বিকেলে পুলিশ তাঁকে আদালতে সোপর্দ করেছে।