শাহজালাল বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালে প্রবাসীকল্যাণ ডেস্ক বন্ধের চেষ্টা
সিএইচটি টিভি ডেস্ক
  • প্রকাশিত : 04-07-2024
ফাইল ছবি : সংগৃহীত

বিদেশে যাওয়া ও আসার সময় প্রবাসীদের সেবা দিতে দেশের তিনটি আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেই আছে প্রবাসীকল্যাণ ডেস্ক। নতুন কর্মীদের ছাড়পত্র যাচাই, অসুস্থ কর্মীদের বরণ, প্রবাসীদের মরদেহ গ্রহণ করে থাকে এই ডেস্ক। এটি এখন বন্ধের পাঁয়তারা শুরু হয়েছে। ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালে জায়গা বরাদ্দ পাচ্ছে না প্রবাসীকল্যাণ ডেস্ক।

হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের তৃতীয় টার্মিনালে প্রবাসীকল্যাণ ডেস্কের অবস্থান নিশ্চিত করার জন্য জরুরি ভিত্তিতে ব্যবস্থা নিতে অনুরোধ করে ২৪ জুন চিঠি দিয়েছে প্রবাসীকল্যাণ ডেস্ক। বাংলাদেশ জনশক্তি, প্রশিক্ষণ ও কর্মসংস্থান ব্যুরোর (বিএমইটি) মহাপরিচালকের কাছে পাঠানো ওই চিঠির অনুলিপি প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ডের কাছেও পাঠানো হয়েছে।

চিঠিতে বলা হয়েছে, আগামী অক্টোবরে নবনির্মিত তৃতীয় টার্মিনালে আন্তর্জাতিক ফ্লাইট ব্যবস্থাপনা কার্যক্রম চালু হতে পারে। বিমানবন্দরের দায়িত্ব পালনকারী সব পক্ষকে নিয়ে ১০ জুন একটি বৈঠক করেছেন বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান। বৈঠকে বিভিন্ন দপ্তরের কার্যালয় বরাদ্দ নিয়ে আলোচনা হয়। এ সময় প্রবাসীকল্যাণ ডেস্কের অবস্থান ও কার্যক্রম সম্পর্কে জানতে চান ডেস্কের দায়িত্বে থাকা সহকারী পরিচালক।

বৈঠকে বেবিচক চেয়ারম্যান জানান, বর্তমানে যেভাবে বিএমইটির বহির্গমন ছাড়পত্র যাচাই করা হচ্ছে, তৃতীয় টার্মিনালে সে সুযোগ থাকছে না। নতুন টার্মিনালে সবকিছু যাচাই হবে অনলাইন প্রক্রিয়ায় স্বয়ংক্রিয় কাঠামোর মধ্যে। এর জন্য অভিবাসন বিভাগের তথ্যভান্ডারের (ডেটাবেইস) সঙ্গে বিএমইটির তথ্যভান্ডার একীভূত করে অভিবাসনের কার্যক্রম পরিচালিত হবে। আর প্রবাসীদের কল্যাণসংক্রান্ত যেকোনো কার্যক্রম তৃতীয় টার্মিনালের তথ্যকেন্দ্রের মাধ্যমে পরিচালিত হবে বলে বৈঠকে জানান বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক।

প্রবাসীদের অর্থে গঠিত তহবিল দিয়ে পরিচালিত হয় ওয়েজ আর্নার্স কল্যাণ বোর্ড। এ বোর্ডের অধীনেই কাজ করে প্রবাসীকল্যাণ ডেস্ক। কল্যাণ বোর্ডের কর্মকর্তারা বলছেন, প্রতিদিন গড়ে তিন হাজারের বেশি নতুন কর্মী বিদেশে যান। পুরোনো কর্মীদের আসা-যাওয়া তো আছেই। বিদেশে যেতে প্রত্যেক কর্মীকে বিএমইটি থেকে ছাড়পত্র নিতে হয়। তাঁদের একটি স্মার্টকার্ড দেওয়া হয়। কোনো কর্মী যাতে মানব পাচারের শিকার না হন, তাই বিমানবন্দরে ছাড়পত্রটি যাচাই করে প্রবাসীকল্যাণ ডেস্ক। এটি পুলিশের অভিবাসন বিভাগের কাছে চলে গেলে যাচাইয়ের এ সুযোগ বন্ধ হয়ে যাবে।

শেয়ার করুন