ইসলামি দলগুলোকে পক্ষে আনার চেষ্টায় বিএনপি ও জামায়াত
সিএইচটি টিভি ডেস্ক
  • প্রকাশিত : 28-01-2025
ফাইল ছবি : সংগৃহীত

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের দিনক্ষণ এবং বিভিন্ন প্রাতিষ্ঠানিক সংস্কার নিয়ে নানা আলোচনা ও বিতর্কের মধ্যেই ইসলামী আন্দোলনের আমিরের সঙ্গে বৈঠক হলো বিএনপির মহাসচিবের। এর সপ্তাহখানেক আগে জামায়াতে ইসলামীর আমির বরিশালে গিয়ে ইসলামী আন্দোলনের আমিরের সঙ্গে বৈঠক করেন। এ বৈঠক রাজনীতিতে আলোচনার সৃষ্টি করে। বৈঠকটির পর ইসলামী আন্দোলনের নেতারা ইসলামি দলগুলোর মধ্যে ঐক্য তৈরির প্রচেষ্টার কথা বলেন। এমন প্রেক্ষাপটে জামায়াতের পরে গতকাল সোমবার ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে বৈঠক করল বিএনপি।

আগামী নির্বাচনকে লক্ষ্য রেখে রাজনীতিতে নানা মেরুকরণ হতে পারে বলে রাজনীতিকদেরই অনেকে বলছেন। এখনো নির্বাচনের সুনির্দিষ্ট সময় ঘোষণা করা না হলেও রাজনৈতিক দলগুলোর নির্বাচনমুখী তৎপরতা দৃশ্যমান হচ্ছে। বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামীর পক্ষ থেকে ইসলামি দলগুলোকে কাছে টানার চেষ্টা দেখা যাচ্ছে। ইসলামী আন্দোলনের আমিরের সঙ্গে বৈঠকের কয়েক দিন আগে খেলাফত মজলিসের সঙ্গেও বৈঠক করেছে বিএনপি।

 

ঢাকার পুরানা পল্টনে  সোমবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে চরমোনাই পীরের সঙ্গে বৈঠকে বসেন।

ঢাকার পুরানা পল্টনে সোমবার দুপুর সোয়া ১২টার দিকে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে চরমোনাই পীরের সঙ্গে বৈঠকে বসেন।

গতকাল দুপুরে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর রাজধানীর পুরানা পল্টনে ইসলামী আন্দোলনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে গিয়ে ইসলামী আন্দোলনের আমির ও চরমোনাইয়ের পীর সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। দীর্ঘ সময় আলোচনার পর তাঁরা ১০টি বিষয়ে একমত হওয়ার কথা সাংবাদিকদের জানান। মির্জা ফখরুল সেখানে জোহরের নামাজ পড়েন এবং চরমোনাইয়ের পীরের সঙ্গে মধ্যাহ্নভোজে অংশ নেন। এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান বরকতউল্লা তাঁর সঙ্গে ছিলেন।

সংশ্লিষ্ট সূত্রগুলো জানিয়েছে, নির্বাচন সামনে রেখে বিএনপির দিক থেকে এ বৈঠকের লক্ষ্য, দূরত্ব কমিয়ে এনে সম্পর্কোন্নয়ন। তবে এর মূল লক্ষ্য হচ্ছে, জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পর থেকে মাঠে-ময়দানে বিএনপির সমালোচনা করে দেওয়া দলটির শীর্ষ নেতৃত্বের বক্তব্য থামানো। বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীর প্রসঙ্গও এসেছে।

নির্বাচনের সময় নিয়ে পুরোপুরি একমত না হলেও ইসলামি শরিয়াহবিরোধী কোনো সিদ্ধান্ত না নেওয়াসহ ১০টি বিষয়ে একমত হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে দল দুটি। বৈঠক শেষ বিএনপি ও ইসলামী আন্দোলনের নেতাদের ঘোষণায় দুই দলের মধ্যে দূরত্ব কমানোর ইঙ্গিত পাওয়া গেছে।

 

গত ৫ আগস্ট ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের পর ‘সংস্কার ও নির্বাচন’সহ বিভিন্ন বিষয়ে বিএনপির সঙ্গে যে কয়টি রাজনৈতিক দলের মতবিরোধ সামনে আসে, এর মধ্যে জামায়াতে ইসলামী ও ইসলামী আন্দোলন অন্যতম। এর মধ্যে আওয়ামী লীগের পতনের পর বিভিন্ন স্থানে ‘দখল, চাঁদাবাজি’ নিয়ে জামায়াতের পাশাপাশি বিএনপিকে লক্ষ্য করে বক্তব্য রেখে আসছিলেন ইসলামী আন্দোলনের আমির সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম ও জ্যেষ্ঠ নায়েবে আমির সৈয়দ মুহাম্মদ ফয়জুল করিম।

স্বৈরাচার আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের এক মাসের মাথায় ফয়জুল করিম শরীয়তপুরে এক সমাবেশে অভিযোগ করেন, ৫ আগস্ট সরকার পতনের পর চিহ্নিত একটি দল লুটপাট, খুনখারাবি ও চাঁদাবাজি শুরু করেছে। চলতি মাসেই ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের সমাবেশে সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীম মন্তব্য করেন, বাংলাদেশের মানুষ আর চাঁদাবাজ, দখলকারী, খুনিদের ক্ষমতায় দেখতে চায় না। সর্বশেষ ২৪ জানুয়ারি ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে কর্মসূচিতে তিনি বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইসলামের পক্ষে একক বাক্স দেওয়ার প্রচেষ্টা চলছে।’ এ বক্তব্যগুলো বিএনপিকে নিশানা করেই বলা হচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছিল।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, মূলত গতকাল ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে বৈঠকের লক্ষ্য ছিল, নির্বাচনের প্রাক্কালে এ ধরনের বক্তব্যগুলো থামানো। বৈঠক শেষে দল দুটি এ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছার ঘোষণাও দিয়েছে। যৌথ বৈঠকে যে ১০ বিষয়ে ইসলামী আন্দোলন ও বিএনপি একমত হয়েছে, এর মধ্যে ৭ নম্বরে ছিল এটি। তাতে ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তিগুলো একে অপরের বিরুদ্ধে আঘাত করে কথা বলব না’ বলে ঘোষণা দেয় দুটি দল।

যদিও বৈঠকে ইসলামী আন্দোলনের নেতারা ‘দখল, চাঁদাবাজির’ কথাটি তুলেছেন এবং বলেছেন, তারেক রহমানসহ কেন্দ্রীয় নেতারা এর বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান নিয়েছেন। কিন্তু তৃণমূলে এর কোনো প্রভাব পড়ছে না বলে অভিযোগ করেন তাঁরা। জবাবে বিএনপির নেতারা স্বীকার করেন, কোথাও কোথাও হচ্ছে, তবে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ পেলে দল থেকে সঙ্গে সঙ্গে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে। এর জন্য দরকার রাজনৈতিক সরকার। নির্বাচনটা হয়ে গেলে দখল, চাঁদাবাজির মতো এ ধরনের অপরাধগুলো নিয়ন্ত্রণে চলে আসবে।

নির্বাচনের পদ্ধতি ও সময় নিয়ে কিছুটা মতপার্থক্য

বৈঠকে উপস্থিত একটি সূত্র জানিয়েছে, আনুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠান প্রশ্নে ইসলামী আন্দোলনের সঙ্গে বিএনপি একমত হয়নি। এ ছাড়া নির্বাচনের সময় নিয়েও দল দুটিতে কিছুটা মতপার্থক্য হয়। ইসলামী আন্দোলন আনুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচনের পক্ষে। বিএনপির নেতারা এর বিপক্ষে যুক্তি দিয়েছেন, এতে আসনভিত্তিক প্রার্থী থাকবে না। ফলে মানুষ ভোটের প্রতি অনাগ্রহী হয়ে উঠবে। এ ছাড়া ভোটের সময় কেন্দ্রে ভোটার আনার একটা বিষয় থাকে। প্রার্থী না থাকলে কেউ গরজ দেখাবে না।

এ ছাড়া বিএনপি জুলাই-আগস্টের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন চেয়েছে। ইসলামী আন্দোলন প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে দ্রুততম সময়ের মধ্যে নির্বাচন চায়। এ বিষয়ে যৌথ ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে চরমোনাইয়ের পীর সৈয়দ রেজাউল করীম বলেন, ‘আমরা “দ্রুত সময়” শব্দটি ব্যবহার করেছি। এবং বেশি সময় না নিয়ে যৌক্তিক, সেই যৌক্তিক সময়টা আমরা বলেছি এক থেকে দেড় বছরের মধ্যে। ছয় মাস তো প্রায় চলেই গেল। আর এক বছরের মধ্যেই সুন্দর একটা জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে, এটাই মূলত আমাদের কাম্য।’

অবশ্য এ বিষয়ে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তর দেননি।

 

বৈঠকে জামায়াত প্রসঙ্গ

বরিশালে চরমোনাই দরবারে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান। গত মঙ্গলবার দুপুরে

বরিশালে চরমোনাই দরবারে মুফতি সৈয়দ মুহাম্মাদ রেজাউল করীমের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান। গত মঙ্গলবার দুপুরে

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, পতিত ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনকারী রাজনৈতিক দলগুলোর পরস্পরকে আক্রমণ করে দেওয়া পাল্টাপাল্টি বক্তব্যের বিষয়টি আলোচনায় এলে জামায়াতের প্রসঙ্গ ওঠে। বিএনপির নেতারা বলেন, এটি চলতে থাকলে পতিত আওয়ামী লীগই এর সুবিধা পাবে। তখন ইসলামী আন্দোলনের উচ্চপর্যায়ের একজন নেতা বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীকে তো আপনারাই পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছেন, মন্ত্রী বানিয়েছেন।’ জবাবে বিএনপির একজন নেতা বলেন, সেটা আমাদের ভুল হয়েছে।’

১০টি বিষয়ে ঐকমত্য

বৈঠক শেষে ব্রিফিংয়ে মির্জা ফখরুল ইসলাম ১০টি যৌথ সিদ্ধান্ত পড়ে শোনান। সিদ্ধান্তগুলো হলো আধিপত্যবাদ, সম্প্রসারণবাদ ও সাম্রাজ্যবাদমুক্ত স্বাধীন-সার্বভৌম টেকসই গণতান্ত্রিক কল্যাণ রাষ্ট্র গঠনে জাতীয় ঐক্য গড়ে তোলা, দুর্নীতিবাজ, সন্ত্রাসী, খুনি ও অর্থ পাচারকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির ব্যবস্থা করা, ভোটাধিকারসহ মানবাধিকার রক্ষায় জাতীয় ঐকমত্য গড়ে তোলা, ন্যূনতম প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষ করে দ্রুততম সময়ের মধ্যে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচনের ব্যবস্থা করা, দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি রোধ, অধিকারবঞ্চিত মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠা করা ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি স্বাভাবিক করে নিয়ে আসা।

এ ছাড়া বিএনপির মহাসচিব ও ইসলামী আন্দোলনের আমির ঐকমত্যে পৌঁছে ঘোষণা দেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তিকে নিয়ে দেশ পুনর্গঠনে ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করব, ফ্যাসিবাদবিরোধী শক্তিগুলো একে অপরের বিরুদ্ধে আঘাত করে কথা বলব না; আগামী দিনে যাতে আওয়ামী লীগের মতো আর কোনো ফ্যাসিবাদী শক্তি ক্ষমতায় আসতে না পারে, সে ব্যাপারে রাজনৈতিকভাবে ঐক্যবদ্ধ থাকব; ইসলামি শরিয়াহবিরোধী কোনো সিদ্ধান্ত নেব না এবং ইসলামবিরোধী কোনো কথা কেউ বলব না।’

বর্তমান প্রশাসনে বিদ্যমান আওয়ামী ফ্যাসিবাদের দোসরদের দ্রুত অপসারণ করার বিষয়েও দল দুটির শীর্ষ নেতারা একমত হয়েছেন। বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘আজকে অত্যন্ত একটা গুরুত্বপূর্ণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে ইসলামী আন্দোলনের আমির সৈয়দ রেজাউল করীমের সঙ্গে। এ আলোচনায় আমরা কিছু বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছি।’

পরে ইসলামী আন্দোলনের আমির বলেন, ‘দেশ, মানবতা ও রাজনীতির ব্যাপারে আমাদের সঙ্গে যে আলোচনা হয়েছে, বিএনপির মহাসচিব যেগুলো উপস্থাপন করেছেন, সেটা আমাদের একই কথা।’

বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন ইসলামী আন্দোলনের জ্যেষ্ঠ প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ মোসাদ্দেক বিল্লাহ, মহাসচিব মাওলানা ইউনুছ আহমাদ, প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব গাজী আতাউর রহমান ও যুগ্ম মহাসচিব ইমতিয়াজ আলম।

এ বৈঠকে থাকা ইসলামী আন্দোলনের প্রেসিডিয়াম সদস্য আশরাফ আলী আকন প্রথম আলোকে বলেন, ‘জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বিএনপির দূরত্ব বাড়ছে। আমরা জামায়াতের সঙ্গে কিছু কমন ইস্যুতে একমত হয়েছি। যেমন সংস্কার আগে, পরে নির্বাচন। আনুপাতিক পদ্ধতিতে নির্বাচন। এ ছাড়া আগামী জাতীয় নির্বাচনে ইসলামের পক্ষে একক বাক্স দেওয়ার প্রচেষ্টাও চলছে। এমন প্রেক্ষাপটে বিএনপির মহাসচিবের সঙ্গে আমাদের বৈঠক হলো। আমরা ১০টি বিষয়ে বিএনপির সঙ্গে একমত হয়েছি।’

জামায়াতের পর বিএনপিও

২১ জানুয়ারি জামায়াতে ইসলামীর আমির শফিকুর রহমান বরিশালে দলীয় এক সমাবেশে গিয়ে চরমোনাইয়ের পীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন। ইসলামের বিভিন্ন বিষয়ে ভিন্নমত থাকলেও দুই দলের শীর্ষ নেতাদের ওই সাক্ষাৎ বা বৈঠকের ঘটনা দেশের ধর্মভিত্তিক ইসলামপন্থীদের রাজনীতিতে কৌতূহলের সৃষ্টি করে। এর এক সপ্তাহের মাথায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম চরমোনাইয়ের পীরের সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে তাঁর কার্যালয়ে গেলেন।

এর আগে ২২ জানুয়ারি খেলাফত মজলিসের আমির, মহাসচিবসহ ৯ সদস্যের প্রতিনিধিদলের সঙ্গে বৈঠক করেন বিএনপির মহাসচিব ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান।আরও কিছু দলের সঙ্গেও বিএনপির বৈঠক করার কথা রয়েছে।

রাজনৈতিক মহল মনে করছে, নির্বাচন সামনে রেখে ইসলামি দলগুলোকে নিয়ে জামায়াতের পাল্লা ভারী করার চেষ্টার বিপরীতে বিএনপি এ বৈঠক শুরু করেছে। যদিও খেলাফত মজলিসের সঙ্গে বৈঠকের পর বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, ফ্যাসিবাদবিরোধী সব রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে ধর্মভিত্তিক ইসলামি দলগুলোর সঙ্গে যোগাযোগ বৃদ্ধির উদ্যোগ নিয়েছে তারা।

 


 

শেয়ার করুন