১৯৬৫ সালের পর সবচেয়ে উত্তপ্ত দিন কাটাচ্ছেন রাজধানীবাসী। আবহাওয়া অধিদফতরের তথ্য মতে, শনিবার বেলা ৩টা পর্যন্ত ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা উঠেছে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। একইসাথে বাতাসে আর্দ্রতা কম থাকায় গরমের তীব্রতা আরো বেশি অনুভূত হচ্ছে। ১৯৬৫ সালে ঢাকার তাপমাত্রা সর্বোচ্চ উঠেছিল ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
আবহাওয়াবিদ হাফিজুর রহমান বলেন, গতকাল ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৪০ দশমিক ৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। এর আগে ২০১৪ সালে বড় রেঞ্জে তাপপ্রবাহ হয়েছিল। তখন ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা হয়েছিল ৪০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ সেটাও অতিক্রম করলো।
তিনি বলেন, এর আগে ১৯৬০ সালে ঢাকায় সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠেছিল। ১৯৬৫ সালে ঢাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করা হয়েছিল। ওই হিসাবে বলা যায়, ১৯৬৫ সালের পর এটাই (৪০ দশমিক ৪) সবচেয়ে বেশি তাপমাত্রা।
অন্যদিকে আজসহ টানা ১৪ দিন ধরে দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা চুয়াডাঙ্গায়। আজ সেখানে তাপমাত্রা উঠেছে ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে। এর আগে ২০১৪ সালে যশোরে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ওই ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াসে উঠেছিল; অর্থাৎ দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রাও নয় বছরের মধ্যে সর্বোচ্চে উঠেছে।
দেশের অন্যান্য এলাকাতেও গরম কমার কোনো লক্ষণ নেই। বরং বেশির ভাগ এলাকায় তাপমাত্রা বেড়েছে। চুয়াডাঙ্গা, যশোর, ঝিনাইদহসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের জেলাগুলোর বেশির ভাগ এলাকার সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি ছাড়িয়ে গেছে। ফলে সেখানে বাতাসের সঙ্গে লু হাওয়া ছিল।