নরসিংদীর রায়পুরা উপজেলার মেথিকান্দা রেলস্টেশন-সংলগ্ন কমলপুর এলাকায় ট্রেনে কাটা পড়ে কারও মাথা ও কারও শরীর বিচ্ছিন্ন হওয়া লাশ রেললাইনে পড়ে ছিল। আজ সোমবার সকালে এমন দৃশ্য দেখে স্থানীয় লোকজন ছুটে আসেন। মুহূর্তের মধ্যে সেখানে মানুষের আহাজারি ও চিৎকারে শোকার্ত পরিবেশ তৈরি হয়।
ঘটনাস্থল পলাশতলী ইউনিয়নের কমলপুর থেকে মেথিকান্দা রেলস্টেশন প্রায় এক কিলোমিটার দূরে। ঘটনাস্থলে রেললাইনের এক পাশে খাল, অন্য পাশে রায়পুরা-নরসিংদী আঞ্চলিক সড়ক। এই সড়কে সিএনজিচালিত যানবাহন চলাচল করলেও স্থানীয় লোকজনের তেমন চলাচল নেই। এলাকাটি বেশ নির্জন, দুই পাশে প্রায় আধা কিলোমিটারের মধ্যে কোনো বাড়িঘর বা দোকানপাটও নেই। খালের ওপারে একটি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় থাকলেও রেললাইন পার হয়ে ওই এলাকায় মানুষের চলাচল কম।
আজ সোমবার সকালে ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ দেখতে জড়ো হওয়া স্থানীয় কয়েকজনের সঙ্গে কথা হয়। তাঁদের মধ্যে একজন ইব্রাহীম মিয়া। তিনি প্রথম আলোক বলেন, রেললাইন ধরে হাঁটতে থাকা কয়েকজন ব্যক্তি আজ সকাল ৮টার দিকে পাঁচজনের লাশ পড়ে থাকতে দেখেন। এ খবর মুহূর্তের মধ্যে আশপাশে ছড়িয়ে পড়ে। বিভিন্ন গন্তব্যের যাত্রী ও আশপাশের শত শত লোকজন ছুটে এসে দেখেন, কারও মাথা বিচ্ছিন্ন ও কারও শরীর বিচ্ছিন্ন লাশ পড়ে আছে। বিষয়টি পুলিশকে জানানো হয়। পুলিশ এসে নিহত পাঁচ তরুণের লাশ উদ্ধার করে। তবে প্রাথমিকভাবে কারও পরিচয় জানা যায়নি।
স্থানীয় লোকজনের ভাষ্য, নিহত তরুণদের বেশভূষা ও পোশাক দেখে টোকাই শ্রেণির মনে হয়েছে। ট্রেনের ছাদে বা ইঞ্জিনে বসে তাঁরা হয়তো যাচ্ছিলেন। দুই বগির মাঝখানে বা ইঞ্জিন থেকে পড়ে গিয়ে তাঁরা ট্রেনে কাটা পড়ে মারা গেছেন। তবে এভাবে পাঁচজনের মৃত্যুর বিষয়টি সন্দেহজনক। পুলিশের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা দরকার।